হিটলারের নাৎসী জার্মানি ছিলো আধুনিক পৃথিবীর দ্বিতীয় দেশ যারা জীব সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়।

একটা ইন্টারেস্টিং তথ্য দি? 

হিটলারের নাৎসী জার্মানি ছিলো আধুনিক পৃথিবীর দ্বিতীয় দেশ যারা জীব সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়। নাৎসী পার্টি ক্ষমতায় আসার ঠিক পরেই পুরো জার্মানিজুড়ে গবেষণা কিংবা বিনোদনের জন্য জীবহত্যা নিষিদ্ধ করা হয়। 

সেই যুগে টাইম পাস কিংবা অ্যাডভেঞ্চারের জন্যে প্রাণী হত্যা ছিলো একটি অতি সাধারণ বিষয়। এটা যে কোনো অন্যায় হতে পারে এটা কারও ধারণাতেই ছিলো না। কিন্তু সারা পৃথিবীকে ভ্যাবাচ্যাকা খাইয়ে দিয়ে ১৯৩৪ সালে হিটলার “দ্য রাইখ হান্টিং ল” নামে এক আইন প্রণয়ন করেন।  যেখানে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় যে একজন মানুষ বছরে সর্বোচ্চ কয়টি প্রাণী হত্যা করতে পারে, আর এর সাথে শিকার করার সময়ও (ঋতু) নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এখন পৃথিবীর প্রায় সব দেশই এই নাৎসী নিয়ম মেনে চলে। 

এছাড়াও ঐ একই আইনের দ্বারা প্রাণী সংরক্ষণ ও মানুষের মতো পৃথিবীতে অন্য প্রাণীদেরও বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করা হয়। যেন স্কুল লাইফ থেকেই বাচ্চারা না-মানুষ প্রাণীদের প্রতি মানবিক হতে পারে। এমনকি মাছ এবং জলজ প্রাণীকেও এ আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। 

হিটলারের অন্যতম সহযোগী হেরম্যান গোয়ারিং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তার এক বক্তব্যে বলেছিলেন, // “প্রাণী হত্যা নিষিদ্ধকরণ শুধুমাত্র প্রাণীদের রক্ষার জন্য নয়, বরং মানবিকতার জন্য। এ কারণে জার্মানিজুড়ে প্রাণীহত্যা নিষিদ্ধ করা হলো এবং এই আইনের বিরুদ্ধাচরণ করা হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”// 

প্রাণী হত্যার জন্যে যে মানুষের শাস্তি হতে পারে‚ সেই দিশাও নাৎসীদেরই দেখানো।

পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে হিটলারের মতামত ছিলো যে - // “পরিবেশ সম্পর্কে জানা উচিৎ, এতে আমরা পরিবেশের নিয়ম মেনে চলতে পারব। পরিবেশের বিরুদ্ধে যাওয়া মানে স্বর্গের বিরুদ্ধাচরণ করা।”//

এছাড়াও নাৎসীরাই  প্রথম ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ হিসেবে তামাককে দায়ী করে। এবং  জার্মানিতে হাসপাতাল, রেস্টুরেন্ট এবং যানবাহনসহ খোলা জায়গায় ধূমপান করা নিষিদ্ধ করে। নাৎসী আমলে তামাকের উপর অতিরিক্ত কর বসানো হয়, বাজারেও সিগারেটের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। নাৎসি সৈন্যদের ধূমপান করতে অনুৎসাহিত করার জন্য বেশ কয়েকটি সচেতনতামূলক অভিযানও পরিচালনা করা হয় পার্টির তরফ থেকে। 

অর্থাৎ এখন যে তামাকজাত দ্রব্যের উপর অতিরিক্ত কর বসানো হয়‚ পাব্লিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে‚ ধূমপান বিরোধী প্রচারণা চালানো হয় - এই সবকিছুই কিন্তু আদতে নাৎসী আইন।   

ব্যবসার লোভে পুঁজিবাদী দুনিয়া কিংবা তামাকে আসক্ত কমিউনিস্ট নেতারা কোনোদিনও স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি তামাকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ করার কথা।  এই আইনও ফ্যাসিস্টদেরই দান। 

ছবি -   “জীবহত্যা নিষিদ্ধকরণ” ঘোষণা করার পর সেই সংক্রান্ত নাৎসী পোস্টার।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted