মুসলিমরা বিদায়ের সময় আল্লাহ হাফেজ বলে, হিন্দুদের বিদায় সময় কি বলা উচিত ?

মুসলিমরা বিদায়ের সময় আল্লাহ হাফেজ বলে 🙂
হিন্দুদের বিদায় সময় কি বলা উচিত ?
                            

প্রথমে আপনাকে উনার বলা কথাটির বঙ্গানুবাদ যানতে হবে ,
ওনি যেটি বলেছেন সেটি আরবি শব্দ, উনি আপনাকে মেসেজ শেষে আল্লা হাফেজ বলেছে , আল্লাহ হাফেজ এর বঙ্গানুবাদ হচ্ছে-
 আল্লাহ - অর্থাৎ উনাদের সৃষ্টিকর্তা
হাফেজ- অর্থাৎ শেষ বা সমাপ্ত,
পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা হচ্ছে- আল্লাহর নামে সমাপ্ত বা আল্লাহর নামে আজকের মত এখানেই শেষ ,
এবং সেই ব্যক্তিটি এর বিপরীতে আমরা হিন্দুরা কথা বলা শেষে অথবা দেখা করা শেষে কি বলি সেটি জানতে চেয়েছে , 
আসলে আমরা সনাতন ধর্মালম্বীরা সংস্কৃত ভাষা তেমন একটা জানি না - বিশেষ করে 99% মানুষ জানিনা, 
আর তাছাড়া আমরা সনাতন ধর্মালম্বীরা অন্য ধর্মের সাথে নিজের ধর্মকে ম্যাচিং করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছি অন্য ধর্মের সাথে আমার ধর্ম মেচিং হতে হবে এমন তো কোন কথা নয়, 

যাইহোক আমরা যদি উনার কথার পক্ষপটে যাই -তবে আমাদের সনাতন ধর্ম অনুসারে বিদায় বেলা কি বলা উচিত , তার আগে চলুন একটি সংস্কৃত শব্দের বঙ্গানুবাদ দেখি - 
সংস্কৃতি শব্দ -অন্ত - বাংলা শব্দ অন্তিম - অর্থাৎ শেষ বা সমাপ্ত ,
এখন আমি যদি উনার সাথে ম্যাচিং করে বলতে যাই তাহলে আমারও সংস্কৃত ভাষায় বলা উচিত , 
    "ঈশ্বরর কৃপঃ অন্ত"
যার অর্থ দাঁড়ায় ঈশ্বরের কৃপায় সমাপ্ত বা ঈশ্বরের কৃপায় আজকের মত এখানেই শেষ , 
কিন্তু আপনাকে যে সংস্কৃত শব্দটা বলতে হবে তা নয়- বরং ঈশ্বরের কৃপায় আজকের মত এখানেই শেষ -এটা বলাই উত্তম ।
এবং কারো সাথে কথা বলার শুরুতে বা প্রথমে নমস্কার দিয়ে আরম্ভ করি ,



এখন আমার কথা হচ্ছে অন্য ধর্মালম্বীরা কে কি বলল সেটা সাথে আমাকে ম্যাচিং করে তার উত্তর দিতে হবে সেটা নয় - কেননা তারা আরব ভাষার সংস্কৃতিকে অনুসরণ করে , এবং সেই আরবি শব্দের বঙ্গানুবাদ করতে গেলে সেটা সাধারণ সহজ  বাংলাভাষ্যই বোঝা যাবে, 
আর যেহেতু আমরা সংস্কৃতি ভাষা বলতে অভ্যস্ত নই - তাই সংস্কৃতি ভাষা মতে বাংলা ভাষাতেই পথ অনুসরণ করাই উচিত নয় কি , 
আর তাছাড়া কালের বিপত্তিতে আমাদের অনেক শাস্ত্রীয় শব্দ আমাদের সংস্কৃতি পাল্টে যাচ্ছে ,
তাই এখনো সময় আছে নিজেকে শুধরে নিন - নিজের ধর্ম শাস্ত্রীয় ভাষা সংস্কৃতি কে সম্মান করুন আলিঙ্গন করে নিন 

 বাস্তবতা- এখন হিন্দু সমাজ নিজ ধর্ম শাস্ত্রীয় ভাষার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে  , চলুন শুধরে নেই- আলিঙ্গন করে নেই নিজের শাস্ত্রীয় ভাষা

পানি メ-- অপসংস্কৃতি অর্থাৎ পরের সংস্কৃতি 
জল ✓ --নিজ সংস্কৃতি

শোকর メ--অপসংস্কৃতি
সন্তুষ্ট ✓ ---নিজ সংস্কৃতি

জমিন メ--অপসংস্কৃতি
ভূমি ✓---নিজ সংস্কৃতি

দাওয়াত メ--অপসংস্কৃতি
নিমন্ত্রণ /আমন্ত্রণ ✓--নিজ সংস্কৃতি

গোসল メ--অপসংস্কৃতি
স্নান ✓--নিজ সংস্কৃতি

 নাস্তা メ--অপসংস্কৃতি
জলখাবার ✓--নিজ সংস্কৃতি

আসমান メ--অপসংস্কৃতি
আকাশ ✓--নিজ সংস্কৃতি

রহমত メ--অপসংস্কৃতি
কৃপা / মহিমা ✓--নিজ  সংস্কৃতি

দোয়া メ--অপসংস্কৃতি
আশীর্বাদ/ পার্থনা ✓--নিজ সংস্কৃতি

রিজিক メ--অপসংস্কৃতি
ভাগ্য ✓--নিজ সংস্কৃতি

আমিন メ--অপসংস্কৃতি
ॐ শান্তি ✓--নিজ সংস্কৃতি

ইন্নালিল্লাহ メ--অপসংস্কৃতি
ওঁ দিব্যা লোকান স্ব গচছতুঃ✓--নিজ সংস্কৃতি

মাশাল্লাহ メ--অপসংস্কৃতি
সুন্দরম্ বা ঈশ্বরের অপরূপ সৃষ্টি ✓--নিজ সংস্কৃতি

বিসমিল্লাহ メ--অপসংস্কৃতি
ॐ তৎ সৎ ✓--নিজ সংস্কৃতি

আলহামদুলিল্লাহ メ--অপসংস্কৃতি
ঈশ্বরের অপার মহিমা ✓--নিজ সংস্কৃতি

এমন অসংখ্য অপসংস্কৃতির ভাষা রয়েছে যা আজ ( সনাতন ধর্মালম্বী )আমাদের সাথে মিশে গেছে ,

✌️তবে আজকের সমাজে আমাদের অনেক সনাতন ধর্মালম্বীদের অপসংস্কৃতির ভাষা কেই অনুসরণ করতে বেশি দেখা যায় , অনুসরণ করবেই না বা কেন ? - কারন আমাদের সমাজ কখনো আমাদের শাস্ত্রীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় না - নাতো আমাদের কোন ধর্মীয় গুরুকুল রয়েছে , নাতো ধর্মীয় শিক্ষার পাঠশালা রয়েছে - আর তাই অপসংস্কৃতি আমাদের সাথে মিশে যাচ্ছে । তাই সকল দায়িত্ব মা আর বাবা কে নিয়ে সন্তান কে নিজ ধর্ম বিষয়ে আগ্রহী করে তোলেন, নমস্কার সবাই কে 🙏🙏

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted