যারা দুর্গাপুজোয় অর্থ অপচয় দেখে, তারাই এখন যুক্তি দেখায় কুরবানিতে হাজার কোটি টাকার খন্ডকালীন জীবিকার।

একটা জিনিস খেয়াল করেছেন কিনা জানি না, ভারতীয় ও বাংলাদেশীয়দের যারা দুর্গাপূজার সময় অর্থ অপচয় ও প্রতিমা বিসর্জনে নদী দুষণের যুক্তি দিয়েছিলেন তারাই কুরবানীর বিরুদ্ধে একই রকম যুক্তির বিপক্ষে উনারা গরু ব্যবসার হাজার কোটি টাকা ও একে কেন্দ্র করে খন্ডকালীন জীবিকার সুন্দর দোহাই দিচ্ছেন! অথচ দুর্গা পুজা দিয়ালীতেও হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এই সময়কে কেন্দ্র করে শিল্পী, লাইট, ডেকরেটর ব্যবসা ও তার সঙ্গে জড়িত শ্রমিক কর্মচারীদের জীবিকা জড়িত। 



স্টেজ তৈরিতে বহু কিছু লাগে। তখন তো তারা এসব ব্যবসার দোহাই দেন নাই? বলির মাংসও তো গরীবের পুষ্টি মেটায়। প্রতিমা বিসর্জন যদি নদী দুষণ করে তাহলে গরুর রক্ত বর্জ্য কি পরিবেশের উপকার করে? কুরবানীর পর বিভৎস দুর্গন্ধ কি বমি আসে না? নেপালের গাধিমাইতে বলি হওয়ার পশুর মাংস তো পেটে গেলে গরীবের মাংস খাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মিটত। কিন্তু এই বৃহত উৎসব বন্ধ করতে দিনের পর দিন আন্দোলন করেছে পশুপ্রেমিরা। নাস্তিকরা করেছে বিরোধীতা। কেউ তো গরীবের পুষ্টির দোহাই দিয়ে বলির পক্ষ নেয় নাই। তাহলে কুরবানীর পক্ষে এসব যুক্তি দিচ্ছে কেন মডারেট মুস লমান ও তাদের বন্ধু বামপন্থিরা? হুম খুব সন্দেহজনক!

ব্যবসার দোহাই দিয়ে নাস্তিকরা কোন কুসংস্কার বর্বরতার পক্ষ নিবে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ কোন কিছু করলেই সেটাকে সম্মান করতে হবে যতই বর্বর কুসংস্কার হোক তেমন সুশীলতা দেখানোর টাইম নাই।

[এই লেখার জন্য পুজা উদযাপন পরিষদ থেকে এইমাত্র এক হাজার টাকার বিকাশ এসে পৌঁছেছে! ]

#সুষুপ্তপাঠক
#SusuptoPathok

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted