১)
মুহাম্মদের মৃত্যু হয় - ৬৩২ সালে। ৬৩ বছর বয়সে।
ইহুদী নারীর বিষ প্রয়োগে অসুস্থ্য হয়ে মুহাম্মদের মৃত্যু হয়েছিল। বিষ খাওয়ার পর ২ বছর ৭ মাস অসুস্থ্য থেকে তিনি মৃত্যুবরন করেন। ফেরেস্তারা তাঁর চিকিৎসা করেছিলেন। অসংখ্য হাদিস ও ইতিহাসে তাঁর বর্ননা আছে। [বুখারী ৩:৭৮৬, ৪:৩৯৪, মুসলিম ৩:৫৪৪০, তাবারী বই ৮:১২৩-১২৪, ইবনে সা-আদ ইত্যাদি।]
এরপর মক্কার লোকেরা মুহাম্মদকে ভুলে গিয়েছিল। তাঁরা নামাজ পড়ত না - কুরান পড়ত না। মক্কার লোকেরা ভেবেছিল - মুহাম্মদের মৃত্যুর সাথে সাথে ইসলামের - অবলুপ্তি ঘটেছে।
কুরানের কোন লিখিত সংকলন - মক্কাবাসীর কাছে ছিল না। কুরানের বিভিন্ন আয়াতের পান্ডুলিপি কোন একজন মানুষের কাছে সংরক্ষিত ছিল না। গাছের ছাল বাকল চামড়ায় বিছিন্ন ভাবে - বিভিন্ন জায়গায় ও জনের কাছে সংরক্ষিত ছিল।
মক্কার লোকেদের কুরানের প্রতি কোন আগ্রহ ছিল না। - মুহাম্মদ বেঁচে থাকাকালে তাঁর কুরানের মধ্যে মক্কাবসীকে সহস্র বার মুনাফিক বলে গালি দিয়েছিলেন। মক্কাবাসী ভয়ে মুখে ইসলাম বল্লেও - মনে মুহাম্মদকে ঘৃনা করত।
মুহাম্মদের মৃত্যুর পর - মক্কাবাসী - নামাজ পড়ত না বা পড়ার রীতি ভুলে গিয়েছিল - তার প্রমান - পৃথিবীতে বর্তমানে ৬ প্রকার নামাজের পদ্ধতি বিরাজমান আছে।
মুহাম্মদ - নামাজের কোন রীতি অনুসরন করত - তা জানা যায় না। মুহাম্মদের মৃত্যুর পর মক্কার লোকেরা যদি নামাজ পড়ত - তা হলে - এ কবছরে মুহাম্মদের নামাজ পড়ার পদ্ধতি - মক্কাবাসী ভুলে যেত না।
২)
মুহাম্মদের মৃত্যুর ২২ বছর পর - ৬৫৪ সালে হযরত উসমান - সে সব নিখোঁজ ছালবাল, বাকল সংগ্রহ করেন ও কিছু অংশ বিনষ্ট বা পুড়িয়ে ফেলে - পুস্তক আকারে লিপিবদ্ধ করেন। কারন - সৈনিকদের - জেহাদে উদ্বুদ্ধ করতে কুরানের সংকলন দরকার পড়েছিল।
যদিও মুহাম্মদ জীবিত কালে - ওসমান বা অন্য কাউকেই - কুরান সংকলন বা পুস্তক আকারে লিপিবদ্ধ করার - অনুমতি দিয়ে যান নাই - বা কুরানেও এ বিষয়ে কোন দিক নির্দেশনা নাই।
মুহাম্মদের স্ত্রী হাফসার কাছে একটি অংশ লিপিবদ্ধ ছিল - তা ৬৬৫ সালে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
৩)
আমরা যে ভাবে নামাজ পড়ি - মুহাম্মদ তা করতেন না - তার প্রমান আছে। নামাজের মধ্যে আমরা কি পড়ছি - সাধারন মুসলমানরা তা কেউ খুঁজে দেখে না। যদি দেখেন - পাবেন।
নামাজের মধ্যে - শুধু আল্লাহর প্রসংশা হওয়ার কথা। মুহাম্মদ - ও তাঁর বংশধররা - নিশ্চই আল্লাহ না। কিন্তু আমাদের নামাজে - মুহাম্মদ ও তাঁর বংশধরদের গুনকীর্তনে ভরপুর।
মুহাম্মদ কি নামাজের মধ্যে - নিজে দুরুদ পড়ে - নিজের উপর বর্ষন করতেন? .. তিনি কি নামাজের মধ্যে নিজেই নিজের পক্ষে স্বাক্ষ্য দিতেন ... "আমি স্বাক্ষ্য দিতেছি যে ...."আমি আল্লাহর রসুল"?
নামাজের মধ্যে দুটি অধ্যায় - সানা এবং দুরুদে - এসব আছে। যেখানে মুহাম্মদ ও তাঁর পরিবার ও বংশধরদের প্রশংসা - তাঁরা যাতে বেহেশতে যেতে পারেন - প্রতি রাকাত নামাজে - আল্লাহর কাছে তাঁদের জন্য আমাদের সুপারিশ করতে হয়। - আজানের দোয়াতেও আছে।
অথচ - মুহাম্মদের এত ক্ষমতা - মুহাম্মদ কুরানে প্রতিজ্ঞা করেছেন - এক মাত্র তিনিই - উম্মতদের বাঁচাবেন - একমাত্র সুপারিশকারী।
৪)
এত সব প্রমান সত্বেও - মুসলমানরা বুঝতে চান না - কুরান আকাশ থেকে পড়েনি - সাধারন মানুষের হাতে গড়া।
আমার অনুসন্ধিৎসু মন জানতে চায় -
কুরান যদি আল্লাহর কথা হবে - মুহাম্মদ বেঁচে থাকতেই কেন - কুরান সংকলন করে গেলেন না?
দুই যুগ পর কেন উসমানকে তা করতে হবে - পুড়াতে হবে?
মুহাম্মদের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি প্রমান করে - মুহাম্মদের সাগরেদ ও শিষ্যরা - নিজেদের স্বার্থে - হারিয়ে যাওয়া কুরানকে এভাবে ব্যাবহার করে সফল হন। পুনরুজ্জিবীত করেন।
Copy post
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................