কলা ভবন কেনো সমগ্র ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় মাদ্রাসা ছাত্ররা সংখ্যাধিক্য হলেও কোন সমস্যা নেই। এবং এটা নিয়ে ভাবনারও কিছু নেই।
আজ যখন কলাভবনের মতো একটি স্যাকুলার স্পেসে মাদ্রাসা ছাত্ররা তাদের ধর্মীয় ভাবাদর্শ (দাঁড়ি, টুপি, পাঞ্জাবি) নিয়ে অত্যন্ত সম্মানের সাথে প্রবেশ করলো সম্ভবত কেউ তাদেরকে ইগনোর করেনি, হ্যারেজমেন্ট করেনি, ক্রিটিক করে নি। করার মতো কোন পরিস্থিতিও হয় নি। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের, স্বস্তির।
ধরেন সমগ্র ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় মাদ্রাসা ছাত্ররা সংখ্যাধিক্য হয়ে গেলো এবং অল্পসংখ্যক স্যাকুলার শিক্ষার্থীরা তাদের স্যাকুলার মোটিভে এই যেমন - লম্বা চুল, হাফপ্যান্ট, সিগারেট, হাতে হাতে গীটার, মুখে মুখে ব্রান্ড সংগীত নিয়ে ঠিক মাদ্রাসার ছাত্রদের সম্পূর্ণ বিপরীত মোটিভ নিয়ে তাদের সামনে দিয়ে কলাভবনে প্রবেশ করলো আপনি কী মনে করেন তখন মাদ্রাসা ছাত্ররা এদের আস্ত রাখবে!
শোনেন আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, পোশাক, পরিশ্রম, আয় - ব্যায়, জীবন - জীবিকা, সাহিত্য - সংস্কৃতি - ধর্ম সবকিছুর উন্মুক্ত স্বাধীনতার কথা বলি। আমরা বিশ্বাস করি মানুষের বৈচিত্র্যে, ভিন্নতায়। আমার চিন্তা ও মতের পার্থক্য হলেই কাউকে ঘৃণা করা, কারো প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো এটি পাপ, এটি অন্যায়।
এখন হয়তো কেউ কেউ বলতে পারেন আমি যে কল্পিত মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের রাজত্বে স্যাকুলারদের অনিরাপদ তত্ত্ব দিলাম সেটা ভুল। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি সেটা একটুখানিও ভুল না। কারণ অতীতে আমরা দেখছি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মোটিভে যেখানে আবার সংখ্যাগরিষ্ঠ মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের তারা (শিবির) যে কতোটা ভয়াবহভাবে তাদের কন্ট্রোলে থাকা দুটি বিশ্ববিদ্যালয় (চট্টগ্রাম - রাজশাহী) এ কতো জঘন্যভাবে নিজেদের একচেটিয়া ফ্যাসিজম কায়েম করেছে সেটা যারা সে সময়কার এবং সমসাময়িক ছিলো তারা বলতে পারবে। এবং সেইসবখানে স্যাকুলারদের প্রকাশ্যে হুমকি, হয়রানি এমনকি হত্যা পর্যন্ত করা হতো শুধুমাত্র স্যাকুলার তথা লিবারেল চিন্তার জন্য।
সুতরাং সাধু সাবধান! সব সাপের যেমন বিষ নেই এটা ঠিক কিন্তু সব বিষেই কমবেশি ব্যাথা আছে।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................