গুরগাঁওয়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছে খোলা জায়গায় বা রাস্তায় নামাজ পড়া আর সহ্য করা হবে না।

হারিয়ানা রাজ্যের গুরগাঁওয়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছে খোলা জায়গায় বা রাস্তায় নামাজ পড়া আর সহ্য করা হবে না। এটা নিয়ে ২০১৮ সালে সেখানে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিলো। হারিয়ানা সরকারকে স্বাগত জানাচ্ছি ‘মামার বাড়ির আবদারকে’ রুখে দেয়ার জন্য। 

রাস্তা আটকে গাড়িঘোড়া বন্ধ করে লোকজনের সমস্যা করে, মাইক বাজিয়ে মানুষকে কষ্ট দিয়ে নামাজ মাহফিল পড়ার জন্য পাকিস্তান বানানো হয়েছিলো। কিন্তু পাকিস্তান তো মানুষের মনের মধ্যে। তাই ভারতেও ‘পাকিস্তান’ দেখা যায়। এমনকি ফ্রান্সের সি-বিচেও লোকজনের হাঁটার মাঝখানে ইউরোপকে ‘পাকিস্তান’ বানানোর স্বপ্ন দেখা মুমিন নামাজ পড়তে বসে যায়। 

নামাজের জন্য মসজিদ আছে। সেখানে জায়গা না হলে নেই। ঢাকাকে গর্ব করে বলাই হয় ‘মসজিদের শহর’। তবু শুক্রবার এখানে রাস্তা আটকিয়ে রাস্তায় নামাজ পড়া হয় শোডাউনের জন্য। কিসের শোডাউন? কাদের দেখানোর জন্য? 

এ বছর কুরবানীর ঈদের সময় ফেইসবুক জুড়ে দেখেছিলাম, রাস্তায় ফেলে গরু কুরবানী দেয়াটার মধ্যে নাকি একটা অধিকার প্রতিষ্ঠার স্মরক জড়িত। দেশভাগের আগে নাকি হিন্দুদের জন্য এভাবে রাস্তায় প্রকাশ্যে গরু কুরবানী দিতে পারত না। পারত কি পারত না সেই ইতিহাসে গেলাম না, রাস্তা আটকে, মাইক বাজিয়ে এই ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানদেরকেই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে যন্ত্রণা দেয়ার পেছনেও যে সেই একই আইডলজি তাতে কোন সন্দেহ নেই। ‘এটা মুসলমানের দেশ’ এটা যেন নিজেকেই বার বার মনে করিয়ে দেয়া! ভারতের মত দেশে এটা করা হয় হিন্দুদের দেখানোর জন্য। আমেরিকা ইউরোপে করা হয় নাসারাদের কাছে ইসলাম দেখানো জন্য। মসজিদের জায়গার অভাবে রাস্তায় নামাজ পড়ার কোন যুক্তি নেই। এটি ধর্মীয় কোন অধিকারের পর্যায়ে পড়ে না। এটা হচ্ছে তাবলীগ। হারিয়ানাতে কারা ক্ষমতায় বসে আছে ডান না বাম সেটা দেখার টাইম নেই। মুখ্যমন্ত্রী যে বলেছেন, সহ্য করা হবে না’ সেটাই করা হোক। শুভবুদ্ধির মুসলমানদের উচিত এই ইস্যুকে ধর্মীয় অধিকার, সংখ্যালঘু নির্যাতনের মধ্যে যে গুলিয়ে না ফেলে।

-সুষুপ্ত পাঠক

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted