বাংলাদেশ তালিবানি আফগানিস্তান হওয়ার পথে।
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️
যেদিন ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন হিন্দু মেয়েদের কপালে সিধুর হাতে শাখা আর ছেলেদের ধূতি পরে বের হতে দেয়া হবেনা।সেদিনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল লতা সমাদ্দাররা কপালে টিপ পরে বের হতে পারবেন না।কার্য্যত সেটাই হয়েছে।তবে ব্যতিক্রম হল কোন ইসলামী পোশাকদারী ব্যক্তি কপালে টিপ পরার জন্য ডঃ লতা সমাদ্দারকে কটুক্তি করেনি বা তার গায়ের উপর মোটর বাইক তুলে দেয়নি, করেছে পুলিশের পোশাক পরা কোন এক ব্যক্তি।তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির লম্বা দাড়ি ছিল।অর্থাৎ এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে মৌলবাদের শিকড় অনেকদূর পর্যন্ত গিয়েছে।হতে পারে সেটা র্যাব আর্মি এবং অন্যান্য প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত।!
ঘটনা ঘটার পর সোস্যাল মিডিয়ায় যত প্রতিবাদই হোক না কেন কপালে টিপ পরা যে ইসলামে হারাম তা কি পাল্টাতে পারবে?পারবে না।কারন সরকারই চায় না কেউ ইসলামী রীতিনীতি ভঙ্গ করুক।যদি সরকার চাইত তাহলে যেদিন বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে হিন্দুদের হুমকি দেয়া হয়েছিল তার পরের দিনই সেই সব ইসলামী নেতারা গ্রেফতার হত।কিন্তু হয়নি কারন সরকার চায় না সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ইসলামী আবেগে আঘাত দিতে।যেমন পারেনি জাতির জনকের বহু মূল্যবান ভাস্কর্য ঢাকার দোলাইপাড়ে বসাতে।সেদিনও এই ইসলামী দলটিই বায়তুল মোকাররমে দাঁড়িয়ে হুংকার দিয়ে বলেছিল যদি দোলাইপাড়ে শেখ মুজিবুর রহমানে মূর্তি বসানো হয় তাহলে তৌহিদি জনতা সে মূর্তি বুড়িগঙ্গায় ছুড়ে ফেলে দেবে।
সেখানে বাংলাদেশে হিন্দুরা তাদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে কপালে সিধুর বা টিপ
পরবে হাতে শাখা-নোয়া পরে বেরুবে ছেলেরা ধূতি পরবে শাখ বাজিয়ে পূজা অর্চনা হবে সন্ধ্যায় উলুধ্বনি দিয়ে তুলশী তলায় গৃহবধূরা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করবে এটা কি আমরা এই সরকারের কাছ থেকে আশা করতে পারি?অতীত অভিজ্ঞতা সে কথারই প্রতিধ্বনিত করে।মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ পর্যবেশিত হয়েছে ইসলামী চেতনায়। ইসলামী চেতনার সাথে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা একাকার।এই সখ্যতার গভীরে কি আওয়ামী লীগ নিজেদের পাল্টে নিয়েছে?নইলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি ইসলামী চেতনায় রূপান্তরিত হয়ে গেল না?এই দায় কার।জাতির জনকের রক্তের উত্তরসূরী শেখ হাসিনা কি এই দায় এড়াতে পারেন?এই জন্যই কি ৩০ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল এদেশ?আমাদের পরিচয় আমরা কি কাফের?পাকিস্তান আমলের শ্লোগান দীন ইসলাম আবার ফিরে এসেছে নুতন ভাবে।বাঙালির আত্মপরিচয়ের সংকট কেবল ব্যক্তি জীবনে নয় সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনেও প্রকট।এ নিয়ে এখন আর কোন বিতর্ক নেই।আমি একজন সাচ্চা মুসলিম এটিই আমার একমাত্র পরিচয়।মুক্তিযুদ্ধ চেতনা অসাম্প্রদায়িকতা মননশীলতা সহমর্মিতা সব উঠে গিয়ে জায়গা করে নিয়েছে জাতি বিদ্বেষ।তাহলে পাকিস্তান ভাঙার কি দরকার ছিল।বাংলাদেশ যে আফগানিস্তানের কড়া নাড়ছে এগুলোই তার পূর্বলক্ষন।এখন আর এই বাংলাদেশকে চিনি না।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................