ধর্মের ফকির
মেয়েরা সর্বদাই নিজেকে ভিন্ন ভিন্ন উপকরণে সাঁজাতে পছন্দ করেন। কখনো ঠোঁটে মৃদু লিপস্টিক, চোখে হালকা কাজল। হাতে কাঁচের চুরি। তবে মেয়েদের নজর কাড়ে টিপ। টিপ সাঁজার উপকরণগুলো আকর্ষণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। সাজগোজের পরিপূর্ণতায় টিপের জুড়ি নেই। তবে সাজসজ্জায় টিপ পরার প্রচলন কিভাবে এসেছে?
হিন্দু বিবাহিতা নারীদেরকে আলাদা করে চেনার জন্য- শাঁখা, খারু, পলার সঙ্গে তাদের সিঁদুর পরানো হতো। সিঁথিতে সিঁদুর পরার পাশাপাশি তারা কপালে সিঁদুরেরই লাল টিপ পড়তো। ক্রমেই কসমেটিক কোম্পানিগুলো টিপ আবিষ্কার করেন। এরপর থেকে হিন্দু বিবাহিত মহিলারা কপালে সিঁদুর পরার কঠিন কার্যের পরিবর্তে লাল টিপ কিনে পরা শুরু করেন।
মূর্খ হুজুর জানেনা বাঙালি মুসলমান নারীরা সিঁদুরের টিপ নয় , তারা লাগায় বাজারের কসমেটিক কোম্পানির টিপ !
ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রায় ৫০০০ হাজার বছর ধরে টিপের প্রচলন।
ইসলাম ধর্মেও টিপের একটি ইতিহাস রয়েছে।
তাফসীরে মা-রেফুল কোরআন, হযরত ইব্রাহিম মূলগ্রন্থ থেকে এই ইতিহাস জানা যায়। হযরত ইব্রাহীম কে আগুনে পুড়িয়ে মারতে নমরুদ একটি বিশাল অগ্নিকুণ্ড নির্মাণ করেন।
যা এত বড় ও ভয়াবহ উত্তপ্ত ছিল যে, কোনো মানুষের পক্ষে হযরত ইব্রাহীমকে কে সেখানে নিয়ে নিক্ষেপ করা সম্ভব হল না। অবশেষে একটি চরক বানানো হয়। যার মাধ্যমে হযরত ইব্রাহীমকে ছুড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যাবে। কিন্তু আল্লাহর নির্দেশে রহমতের ফেরেশতারা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না।
এই পরিস্থিতিতে শয়তান নমরুদকে কুবুদ্ধি দেয়। শয়তানের পরামর্শ দেয়- নমরুদ যেন কিছু নগ্ন মেয়ে (পতিতা) এনে চরকের সামনে বসিয়ে দেয়, কারণ ফেরেশতারা এই অবস্থায় থাকতে পারবে না।
তাই করা হল। এতে ফেরেশতারা চলে গেল। এরপর তারা হযরত ইব্রাহীমকে আগুনে নিক্ষেপ করতে সক্ষম হলেন।
পরবর্তীতে ওই মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল এবং তাদের মাথায় এক ধরনের তীলক পরানো হল। যেটি বর্তমানে আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত।
যদিও এইটা ইসলামের গাঁজাখোরি গল্প ! তারপরেও যুক্তির কারনে আমি বলছি !
কিন্তু বাংলাদেশের হুজুর শ্রেণী কিংবা হুজুর মেন্টালিটির পুলিশ কনস্টবল ইসলামের ইতিহাসে টিপের কাহিনী জানেনা !
বলার আছে তাই বলে দিয়েছে মুসলমান মেয়েদের টিপ পরা হারাম !
যতটুকু আমরা জানি বাংলা-ভারত ভূখণ্ডের মাটির নিচে যে সব পুরাকীর্তির মূর্তি পাওয়া গেছে তাদের অনেকগুলোর কপালেই টিপ পরানো ছিল। এর অর্থ হচ্ছে কপালের টিপ পুরোমাত্রায় একটি বঙ্গভারতীয় রীতি, সংস্কৃতি বা প্রতীক এর সাথে মধ্য প্রাচ্যের বা আরবের কিংবা ইসলাম ধর্মের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
মুমিনদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে কারন তারা মনে করে এই টিপ হিন্দুদের কালচার ! ১২শ শতাব্দীর পূর্বে বাঙালি মুসলমানদের সবাই হিন্দু ছিল ( সেটা স্বীকার করতে কেউই রাজী না , সবাই দাবি করতে চায় তারা আরবের বংশধর )
সেইদিক থেকে বিচার করলে টিপ সম্পূর্ণ বাঙালি কালচার ! বাঙালি নারীর সৌন্দর্যের প্রতীক !
পশ্চিম থেকে আরবের ধর্ম দস্যুরা এইদেশে এসে আমাদের সনাতন ধর্মের সমস্ত বাংলা সংস্কৃতি মুছে ফেলে আরবের সংস্কৃতি ঢুকাতে চায় !
আর সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য হুজুর শ্রেণী মসজিদ , মাদ্রাসা , ওয়াজ মাহফিলে প্রচন্ড তৎপর !
আমাদের মোল্লাদের আপত্তি কিন্তু পুরুষদের সৌন্দর্য বিষয়ে খুবই নমনীয়। তাদের যত আপত্তি ঐ মেয়েদের নিয়েই। ইংরেজদের কোট-প্যান্ট-টাই কিংবা ইহুদিদের জোব্বায় কিছু আসে যায় না। কেবল আপত্তি হল মেয়েদের নিয়েই। বাঙালি পুরুষরা চাইলে যে কোন পোশাক পরতে পারে। কিন্তু মেয়েদের কালো রোরখা না পরলে ধর্ম-কর্ম কিছুই থাকে না।
তারমাদের মেয়েরা হুজুরের চরিত্র তাদের জ্ঞানের ভান্ডার সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত ! কপালে টিপ তারা পরবেই !
আমিও পড়বো !
তোদের বাপের টাকায় পরি নাকি যতসব ধর্মের ভিক্কুক ? হ
তথ্য সংগ্রহ !
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................