একজন কামাল আতাতূর্ক, যিনি আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা।
রাষ্ট্র পরিচালনায় যার মূলনীতি ছিল- ধর্মনিরপেক্ষতা।
তিনি মনে করতেন “ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে ধর্মের স্থান নেই এবং রাজনৈতিক দলগুলির ধর্মীয় ইস্যু এড়িয়ে চলা উচিত”।
কামাল আতাতূর্ককে নিয়ে বহুল প্রচলিত একটা গল্প আছে—
কামাল আতাতূর্ক যখন তুরস্কের শাসনভার গ্রহন করে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন, তখন সেখানকার মৌলবাদী গোষ্ঠী নানাভাবে তাঁকে বাঁধা দিতে থাকে বিভিন্ন ধরণের ধর্মীয় ফতোয়ার মাধ্যমে।
ধর্মীয় মুমিনদের ফতোয়ায় অত্যাচারে কামাল পাশা কোন রকম উন্নয়ন কাজই সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারছিল না।
অনেক ভেবেচিন্তে তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন যে এইসব মৌলবাদী মুমিনরা যে দেশে থাকবে সে দেশের উন্নতি এককথায় অসম্ভব!
যেভাবেই হোক দেশকে এদের হাত থেকে মুক্ত করতেই হবে।
তিনি ঘোষনা দিলেন- দেশের যত মুমিন আছে সবাইকে তিনি বিনা খরচে হজ্জ করাবেন, এই মোতাবেক তিন বিশাল এক জাহাজের ব্যবস্থা করলেন!
মুমিনরা তো মহাখুশী ফ্রীতে হজ্জ করতে যাওয়া যাবে।
(ফ্রী পাইলে মুমিনরা যে সবকিছুই খাবে সেটা প্রায় নিশ্চিত)
তুরস্কের যেখানে যত মুমিন আছে সবাই দলে দলে জাহাজে এসে উঠতে লাগলো, এবং অচিরেই জাহাজ পরিপূর্ণ হয়ে গেল।
ফতোয়াবাজ মুমিনরা প্রায় সবাই জাহাজে উঠেছে নিশ্চিত হবার পর, কামাল আতাতূর্কের নির্দেশ দিলেন-
জাহাজটিকে যেন ভূমধ্যসাগরে নিয়ে ডুবিয়ে দেয়া হয়।
এবং তাঁর নির্দেশমত জাহাজটি ভূমধ্য সাগরে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল।
আর এরপরই কিন্তু কামাল আতাতূর্কের নেতৃত্বে তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।
শিল্পে সাহিত্যে সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠে।
আহা বাংলাদেশে একজন পাগলি মায়ের দামাল ছেলে কামাল ভাইয়ের খুব প্রয়োজন।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................