লাহোর পাকিস্তান কে দেওয়া হয়েছিল , কারন কলকাতা না পাওয়ায় ওদের ভাগে আন্তর্জাতিক মানের কোন শহর ছিল না।
তা সেই লাহোরের অবস্থা কেমন ছিল স্বাধীনতার সময় ?
লাহোর শহরের আশি শতাংশ সম্পত্তি আর ব্যবসা ছিল হিন্দু আর শিখদের দখলে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা। এটা বলা হয় যে লাহোরের DAV কলেজের (আর্য্য সমাজ পরিচালিত) ক্যাম্পাস ছিল আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের তুলনায় বড় ।
অর্থাৎ কিনা হিন্দু-শিখেরাই ছিল লাহোর শহরের প্রতিপত্তিশালী সম্প্রদায়, বিশেষ করে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে।
অন্যদিকে, পূর্ববঙ্গের হিন্দু সম্প্রদায় ও ছিল একই রকম অর্থনৈতিক এবং বৌদ্ধিক সমৃদ্ধির প্রতিনিধি। বেশিরভাগ নাগরিক সম্পদের মালিকানা ছিল হিন্দুদের হাতে। 1290 টি স্কুল আর 47 টি কলেজের প্রায় সবই চলত হিন্দুদের দানে।
দুটো বিশ্বযুদ্ধ হয়ে গেছে, ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হয়েছে সে সময়। কাজেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , বেকারত্ব ,মূল্যবৃদ্ধি তখন অজানা ছিল না। হিন্দু সম্প্রদায় সেটা অতিক্রম করতে পেরেছিল।
কিন্তু ভেঙে পড়ল কখন ?
যখন সভ্যতার সংঘাত দেখা দিল ভয়াল রূপে ।
অর্থনৈতিক নিরাপত্তা আর সমৃদ্ধি বাঁচাতে পারল না হিন্দু-শিখদের। কারন সভ্যতার সংগ্রাম যে পরিচয় বা আইডেন্টিটির সংগ্রাম। সভ্যতার সংগ্রাম সর্বাত্মক এক সংগ্রাম। এখানে কোন সমঝোতা কিভাবে হতে পারে ?নিজেদের আইডেন্টিটির জন্য লড়াই তাই মনোযোগ ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা নয়।
বরং ,আইডেন্টিটির প্রশ্নকে সুকৌশলে ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই কি তুলে ধরা হয় না বেকারত্ব আর মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ ?
ভেবে দেখার সুযোগ ও বারবার আসে না কিন্ত।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................