জ্ঞানবাপী মসজিদে একদিন নামাজ আদায়
✍🏻 ঋতম দেব সিংহ
মোসলেম আর আবেদ এবার খুব অপেক্ষা করছে ঈদের ছুটির জন্য। পরীক্ষা চলছে তাদের। শেষ হতেই ঈদের ছুটি।
এর মাঝে দুজনেই সময় বের করে ভারতের ভিসা এপ্লাই করে এসেছে। এবার তারা সহ প্রায় ছয় লাখ মুসল্লী ভারতে যাচ্ছে। কতো কিছু রেকী করতে হবে যে! কতো জিহাদের সেনানির সাথে গলা মিলিয়ে একবার আল্লাহু আকবর বলতে হবে যে! শত প্রতীক্ষার গাযওয়া-ই-হিন্দ আসছে যে!
ঈদের তিন দিন আগে। মোসলেম আর আবেদ রওয়ানা হয়েছে ঢাকা থেকে। বনগাঁ দিয়ে বর্ডার ক্রস করে সোজা কোলকাতায় পার্ক স্ট্রিটের এক বাড়িতে। এখানেই কিছু আল্লাহর পেয়ারী বান্দা থাকে, যারা মুসাফির জিহাদিদের সেবায় নিয়োজিত।
ভারতের প্রান্তে প্রান্তে বিভিন্ন মাদ্রাসায় ঘুরলো তারা সাথে বিহারের আকরাম ভাই আছে। চোখ চক চক করছে তাদের জেহাদের ভবিতব্য স্ফুটনে।
মুসাফিরি করতে করতে তিনজন এসে থামলো এক নগরীর প্রান্তে। রেল স্টেশনে নাম পড়ে, মোসলেম জিজ্ঞেস করে,
- আকরাম ভাই, এটা তো কাশী। মন্দিরের শহর। এখানে কেন? এখানেও কি আমাদের সেন্টার আছে ভাই?
- এখানের সেন্টারটা অন্য গুলোর থেকে আলাদা বুঝলে?
মোসলেম আর আবেদের চোখে বিস্ময়। কি এমন পার্থক্য এখানে?
- ওই যে দেখো জ্ঞান বাপী মসজিদ। চলো আসরের নামাজ পড়তে যাই।
মোসলেম আর আবেদের ঈমানী চোখ অনেক কষ্টে অজস্র মন্দিরের স্বর্গে খুঁজে পেলো একটি মসজিদের আকৃতি। কিন্তু তাতেও নাপাক হিন্দুদের নানান চিত্র কথা, নানান দেব চিহ্ন। একটু অসন্তোষ দেখাচ্ছে তাদের।
মুচকি হেসে আকরাম ভাই ওদের মসজিদের ভেতরে নিয়ে গেলো।
- চলো ওযু করি।
তিনজনে ওযুতে বসে এক মনে ওযু করছে।
- কি ব্যাপার মিয়াভাইয়েরা। মজা পাচ্ছো না নাকি?
- কেন আকরাম ভাই?
- এই যে জলে পা রেখে ওযু করছো, তাতে ডুব দিলেই পাবে কাশীর অরিজিনাল শিব লিঙ্গ। এই কাফের নপুংসক হিন্দুদের বাবা ভোলানাথ। সেই জলে পা চুবিয়ে আমরা ওযু করে এই মন্দিরের নগরীর পীঠ স্থানে বসে নামাজ আদায় করি সব সময়।
শত কোটি হিন্দুর দেশে হিন্দুদের ভগবানকে জলে চুবিয়ে সেই জলে পা ডুবিয়ে দুলে দুলে ওযু করতে করতে ক্রুর হাসির চমক ওদের চোখে মুখে। যেন জিহাদী জৌলুস মুখ ফেঁটে চৌচির হয়ে আসছে।
নামাজ শেষে জ্ঞানবাপী থেকে বের হয়ে তিনজনে দেখে ঘাটে সন্ধ্যা আরতির শুরু হবে হবে তখন।
পশ্চিমে হেলে পড়া সূর্যের দিকে তাকিয়ে আকরাম বলে, এভাবেই অস্তমিত হচ্ছে এই কাফেরদের দিন। আর দেরি নেই গাযওয়া-ই-হিন্দের।
- জোরসে তৈয়ারী করো মিয়ারা। বর্ডার ক্রস করে কতল করতে করতে এখানেই আসতে হবে তোমাদের।
মোসলেম আর আবেদ ঈমানী আবেগে উৎফুল্ল হয়ে বলে উঠলো,
- আল্লাহু আকবার।
ভুলেই গিয়েছিল এটা ভারত। আশেপাশের তীর্থ যাত্রীরা ভ্রুকুটি করে ওদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে এদিকে সেদিকে চলে গেলো। হকচকিয়ে দ্রুত হাঁটতে লাগলো তিনজনে। মনে মনে ভীষণ আন্দোলন চলছে। কারণ, গাযওয়া-ই-হিন্দের আর দেরী নেই যে!
#জ্ঞানবাপী_মসজিদে_একদিন_নামাজ_আদায়
#ঋতমের_নোটপ্যাডে... #জ্ঞানবাপী_মসজিদ
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................