আমার সমস্ত আয় ১০০% হালাল ! কিন্তু খাবার সময় আমি কখনই ভুলে হালাল খুঁজিনা !

কোরানের ইতিহাস পড়ি 
******************************************
আমার সবাই জানি হেরা গুহায় অবস্থানকালে মুহাম্মাদের নিকট প্রথম কুরআনের বাণী প্রেরিত হয়। এরপর ২৩ বছর ধরে তার নিকট কুরআনের বাণী প্রেরিত হয়। হাদিস ও মুসলিম ইতিহাস অনুসারে, মুহাম্মাদ মদীনায় হিজরত করে একটি স্বাধীন মুসলিম সম্প্রদায় গঠন করার পর তিনি তাঁর অনেক সাহাবাকে কুরআন তেলাওয়াত ও এর শিক্ষা গ্রহণ করে ছড়িয়ে দিতে আদেশ দেন, যা নিয়মিত অবতীর্ণ হতো। বলা হয় যে, কিছু কুরাইশ যাদেরকে বদর যুদ্ধে বন্দী করা হয়েছিল, তারা কিছু মুসলিমকে তৎকালীন সরল লিখন পদ্ধতি শেখানোর পর তাদের স্বাধীনতা ফিরে পায়। এইভাবে মুসলমানদের একটি দল ধীরে ধীরে সাক্ষর হয়ে ওঠে। প্রাথমিকভাবে, খেজুরের ডাল, হাড় ইত্যাদিতে কুরআনের আয়াত লিখিত হয়। যাইহোক, ৬৩২ সালে মুহাম্মদের মৃত্যুর সময় কুরআন বইয়ের আকারে লিপিবদ্ধ ছিল না।আলেমদের মধ্যে এ ব্যাপারে ঐকমত্য আছে যে মুহাম্মাদ নিজে আয়াতগুলো লেখেননি।

এরপর ইসলাম বিভিন্ন শাখায় ভেঙে যায় , যেমন সুন্নি ইসলাম,শিয়া ইসলাম, আহমদিয়া ইসলাম, সুফিবাদ ইসলাম ! 

বাংলাদেশের মানুষেরা নিজেদের সুন্নি দাবি করলেও এদের মধ্যে প্রচন্ড সুফিবাদের প্রভাব রয়েছে ! 
ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা সুফিজম। এদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা কঠিন। দেখা যায়, একেক এলাকায় একেকজন সুফি আসন গেড়ে বসেছেন। সেখানে তিনি নিজের আস্তানা তৈরী করেছেন, মানুষজনকে মুরিদ বানিয়েছেন। মুরিদগনের ধর্মকর্মের সবকিছু তাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। তিনি মুরিদকে যা যা করতে বলেন, যেভাবে নামাজ পড়তে বলেন, রোজা রাখতে বলেন, মুরিদগণ তাই করে। এক্ষেত্রে অনেক সুফি নিজস্ব স্বতন্ত্র নিয়ম-কানুন অনুসরন করেন। আমাদের দেশের শাহজালাল, চরমোনাই, দেওয়ানবাগী, কুতুববাগী প্রমুখ হচ্ছেন সুফিবাদের উদাহরণ।

তলোয়ারের ভয়ে বাংলার হিন্দুরা মুসলমান হলেও সুফিদের উপর তাদের যথেষ্ট ভক্তি , সম্মান আর বিশ্বাস ছিল ! বাংলাদেশের প্রচুর আউলিয়াদের মাজার তার প্রমান ! 

বিভিন্ন শাখা-উপশাখায় বিভক্ত মুসলমানরা কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না, কেউ কাউকে ভালবাসে না। সুন্নিদের একটি উপশাখা ফতোয়া দিয়েছে, ‘শিয়াগণ কাফের। যারা তাদের কাফের হিশেবে স্বীকার করে না, তারাও কাফের। যারা তাদের কাফের হওয়া নিয়ে সন্দেহ করে, তারাও কাফের’। তাহলেই বুঝুন অবস্থা ? 

মুসলমানরা প্রচন্ড বিশ্বাস করে ইসলাম শেষ ধর্ম এবং মহম্মদ শেষ নবী ! কিন্তু ইতিহাস পড়লে দেখা যায় অন্য চিত্র ! 
বাহাই ধর্ম বা বাহাই বিশ্বাস হচ্ছে বাহাউল্লাহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একেশ্বরবাদী একটি ধর্ম বা বিশ্বাস। ঊনবিংশ শতাব্দীতে পারস্যে (বর্তমানে ইরান) এই ধর্মের উৎপত্তি। মূলত মানবজাতির আত্মিক ঐক্য হচ্ছে এই ধর্মের মূল ভিত্তি।বিশ্বে বর্তমানে ২০০-এর বেশি দেশ ও অঞ্চলে এই ধর্মের আনুমানিক প্রায় ৬০ লক্ষ অনুসারী রয়েছে।

এরপর দেখা যায় দ্রুজ ধর্ম ! দ্রুজদের মূল আবাসভূমি সিরিয়া-লেবানন। ইসরাইল ও জর্দানে দ্রুজ ধর্মকে আলাদা ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয় না। কারণ এই ধর্মের ভিত্তিমূল মূলত ইসলাম। দ্রুজ ধর্ম মূলত শিয়া ইসলামের একটি শাখা। দ্রুজদের ধর্ম বিধানে ইব্রাহিমীর ধর্মসমূহের পাশাপাশি নিওপ্লাতিনিক ও পিথাগোরীয় মতবাদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। দ্রুজগণ নিজেদেরকে “আহলে তাওহীদ” (একেশ্ববাদী মানুষ বা একতাবদ্ধ মানুষ) বা “আল-মুয়াহিদুন” বলে পরিচয় দেয়। ঐতিহাসিক পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, বিশেষ করে লেবাননের ইতিহাস গঠনে দ্রুজদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুজদের সামাজিক রীতিনীতি মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের থেকে ভিন্ন। তবে তারা এক আল্লাতে বিশ্বাস করে ! 

ইতিহাস পড়তে আমার ভাল লাগে ! কারন এতে আসল সত্য চিত্রটা পরিষ্কার ফুটে উঠে ! জানার অনেক কিছু আছে , যা আমার অনেকেই জানিনা !
আমরা ইতিহাস না পড়ে ধর্মের ওয়াজ শুনতে ভালোবাসি ! এই আধুনিক যুগে ওয়াজ মাহফিল কতটা গুরুত্বপূর্ন? 
ওয়াজ মাহফিল যদি সমাজ থেকে অপরাধ কমাতে সমর্থ হত, দূর্নীতি কমাতে পারতো, তাহলে এর পক্ষে থাকতে আমার আপত্তি ছিলো না। কিন্ত বাস্তবে তো এইসব ওয়াজের ইতিবাচক কোন প্রভাব চোখে পড়ে না। আমাদের বিনোদনের অনেক অভাব। তাই বহু লোক বিনোদন হিসেবে মাহফিলে বা ইউটিউবে ওয়াজ শুনে। আমি নিজেও শুনি। ওয়াজ ব্যবস্যা খুব জমজমাট। প্রতিটা ওয়াজে মানুষের ঢল নামে। এই মানুষ গুলো কারা? কোন শ্রেনীর? যারা ওয়াজ করছেন, তাদের পড়াশোনা কি? তারা আইনস্টাইন এর নাম শুনেছেন? তারা কি বিজ্ঞানের কোনো সুত্র জানেন? মোবাইল কি করে কাজ করে তারা কি জানেন? 
ওয়াজ গুলোতে অদ্ভুত বানোয়াট কথা বলা হয়। 
এক হুজুরের চেয়ে আরেক হুজুর এগিয়ে এক্ষেত্রে। ইদানিং হুজুরেরা খুব রসিক হয়েছেন। খুব রসিয়ে রসিয়ে কথা বলেন। হুজুর গুলোর ইউটিউব চ্যানেল আছে। যেমন দেশ তেমন ওয়াজ, লক্ষ লোকের সামনে তাই 'বেল গেড, আইফোনের মালিকের সাথে সাক্ষাতের গল্প' আয়েশ করে বলা যায়, জো বাইডেন এর জন্ম বাংলাদেশে বলা যায়, তারপর জোর করে জোর গলায় 'সোবহান আল্লাহ' আদায় করা যায়। হারাম টাকা নেয়ার ব্যপারে আমাদের হুজুরদের খুব আগ্রহ দেখা যায়। আসল কথা, হুজুরেরা টাকা দিয়ে মার্সিডিজ চালান নাকি রকেটে করে চাঁদে যান, সেটা মোটেও বিবেচ্য না। তাদেরকে টাকা দিয়ে আমরা কি পেলাম, সেটাই বিবেচ্য। সরকারি ভাবে কি ওয়াজ বন্ধের ঘোষনা দেওয়া যেতে পারে না? জিয়ার খেতাব মুছে দেওয়া সম্ভব। তাহলে ওয়াজ কারিদের ভন্ডামি বন্ধ করা নিশ্চয়ই অসম্ভব নয় ? 

মানুষ যদি ধর্ম জানতে চায়- বই পড়ে জানবে। প্রচুর ভালো ভালো ধর্মীয় বই আছে। সবচেয়ে বড় কথা এত এত বই না পড়ে কোরআন আর হাদীস ভালো করে পড়লে আর কিছু পড়ার দরকার নাই। যা আছে কোরআন হাদীসেই আছে। হযর‌ত আব্দুর রাহমান ইবন আওফ রাঃ ধন-সম্পদে অনেক ধনী ছিলেন। উনারা ঐ সময়ের জন্য বিলগেটসের চেয়েও কম ছিলেন না। কিন্তু তাদের প্রত্যেকটি আয় স্বচ্ছ ছিলো। ভালো মানুষের কাছে যদি অর্থ থাকে, ধন-সম্পদ থাকে, ক্ষমতা থাকে -সেটা সবার জন্য মঙ্গল। তবে, হ্যাঁ। সেই ধনী হওয়াটা একেবারে ক্লিন হতে হবে। আমাদের দেশে তো সৎ লোকের বড় অভাব। চারপাশে যারা জাকজমক অনুষ্ঠান করে তারা কালো টাকার মালিক চোখ বন্ধ করেই বলা যায়। এদের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। 

এখন ভোর ৪ টা !  কাজে যাইতে হবে ! আমার কর্মই ধর্ম ! আমার সমস্ত আয় ১০০% হালাল ! কিন্তু খাবার সময় আমি কখনই ভুলে হালাল খুঁজিনা ! আমার আয় যখন হালাল , সেই টাকায় ক্রয় করা আমার খাওয়া হারাম হয় কি করে ? 
মহম্মদের মৃত্যুর প্রায় ২০০ বৎসর পর রাশিয়ার উজবেকিস্তানে জনাব বুখারী সাহেব মাত্র ২৩ বৎসর বয়সে হাদিস তৈরী করলেও , অনেক হাদিস যুগের সাথে অচল ! হ 
( তথ্য সংগ্রহ ) 
শুভ সকাল !

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted