কুয়েত ভারতীয় পণ্য বর্জন করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের আরও একাধিক দেশে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। কোন সমস্যা নেই। ভারত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যত পণ্য রপ্তানি করে, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি মূল্যের জ্বালানি তেল আমদানি করে। ভারত সরকারের উচিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বন্ধ করে দেওয়া।
সৌদি আরবের চেয়েও অনেক বেশি তেলের মজুদ রয়েছে ভেনিজুয়েলায়। এছাড়াও আমেরিকা, কানাডা, রাশিয়া, ব্রাজিল প্রভৃতি দেশ অঢেল জ্বালানি তেল নিয়ে বসে আছে - স্বল্পমূল্যে রপ্তানির অপেক্ষায়। হলে কি হবে, ভারতের অসৎ ও দা*লাল নেতা-আমলারা, কমিশনের লোভে- মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাড়তি দাম দিয়ে জ্বালানি তেল কিনে- জাতিকে ঠকায়।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বালানি তেলের বিশাল মজুদ রয়েছে, বিশেষ করে আন্দামান সাগরে। কিন্তু ভারতের ক্ষমতাসীন দলগুলো আরবের পয়সা খেয়ে, ঐ সমস্ত সম্ভাবনাময় অঞ্চলে জ্বালানি তেলের অনুসন্ধান করতে দেয় না।
মধ্যপ্রাচ্যের বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই। চীনের জাতীয়তাবাদীরা যেরকম তৈরি করেছে সাংহাই, বেইজিং, গুয়াংজুর মতো বাণিজ্যিক মহানগরী; যার এক-একটা মহানগরীর মধ্যে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতি ভরে রাখা যায়। ভারতের উচিত চীনের অনুরূপ অর্থনৈতিক মহাপরিকল্পনা হাতে নেওয়া - যাতে ভারতীয়দের বিদেশি শ্রমবাজারের দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকতে না হয়।
কাতার, কুয়েত, সৌদি আরব, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত মিলে ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত অশোভন মন্তব্য করেছে এবং ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষতা অনুশীলন করতে বলছে। এই দেশগুলো নিজেরা কেন ধর্মনিরপেক্ষ হচ্ছে না? সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত ও ইরান নিজেদের দেশে একজন বিধর্মীকেও জীবিত রাখে নি; বাইরে থেকে আসা কোন বিধর্মী যদি সেখানে ধর্ম পালন করে, সঙ্গে সঙ্গে তার শিরচ্ছেদ করে ফেলা হয়। তোমরা নিজেদের বেলায় ষোল আনা, অন্যের কাছ থেকেও আদায় করে নেবে আঠারো আনা; তার উপরে অন্যকে দিচ্ছো উপদেশ! সেটা হবে না, 'আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে।' তোমরা ভারতের পুরু*ষত্বহীন নেতৃত্ব পেয়ে, যা ইচ্ছা তা-ই বলছ ― পড়তে চীনের মতো শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী নেতৃত্বের পাল্লায়, তাহলে বুঝিয়ে দিতো কত ধানে কত চাল!
আরবরা দীর্ঘদিন ভারতের প্রভু ছিল, একথা সত্য। কিন্তু ব্রিটিশ এসে তো আরবদের উৎখাত করে দিয়েছে। তাহলে ভারতের পুরু*ষত্বহীন নেতৃত্ব এখনও কেন আরবদের প্রভু ভাবছে! পিপীলিকা তুল্য ক্ষুদ্র রাষ্ট্র কাতারের ধমকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বহিষ্কার করতে হবে! মিয়ানমার তো আরবদের পরোয়া করে না, পাল্টা ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়। ভারতের ন*পুংসক নেতারা কেন আরবদের হুজুর হুজুর করছে!
ব্রিটিশরা ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ার জন্য ভারত রাষ্ট্রটি সৃষ্টি করেনি। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে। হি*ন্দুদের জন্য ভা*রত, মুসল*মানদের জন্য পাকি*স্তান। ভারতের অযোগ্য-অপ*দার্থ নেতৃত্ব, নিজের স্ত্রীকে দশজনের ভোগের সামগ্রী বানাতে- ধর্মনিরপেক্ষতা কায়েম করেছে। এরা কথায় কথায় ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির গপ্পো মারায়, অথচ কাতার-কুয়েতের মতো পুঁচকে দেশের হুমকিতে মূ*তে কাপড় ভিজিয়ে ফেলে! ছিঃছিঃ! কি লজ্জা! কি লজ্জা! নপুংস*ক নেতৃত্বের অভি*শাপ থেকে ভারত মুক্তি পাক, এই কামনা করছি।
ভারতের বর্তমান পুরু*ষত্বহীন নেতৃত্ব, গরু গবেষণায় ব্যস্ত, গরুর ইজ্জত রক্ষায় ব্যাকুল; অথচ এদের কারণে যে দেশের মান-ইজ্জত ভূলুণ্ঠিত হয়েছে - তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। পৃথিবীতে যে সমস্ত দেশ উন্নত হয়েছে, ধনী হয়েছে, পরাশক্তি হয়েছে; সেই দেশগুলোর কোনটাই গরুমুখী ছিল না। তারা আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-অর্থনীতি প্রভৃতি বিষয়ে গবেষণা করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছেছে।
আমার ধারণা, ভারতের ৮০% মানুষ জাতীয়তাবাদী। তারা চায়, চীন ও আমেরিকার মতো ভারতও বিশ্ব শাসন করুক। কিন্তু ভারতের নেতৃত্ব বে*ইমান, প্রতা*রক এবং বিদেশী স্বার্থের তল্পিবাহক। ভারতের সামনে সুযোগ ছিল চীন-জাপানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। কিন্তু ভারতের বিশ্বা*সঘাতক নেতা-আমলারা, শ*ত্রু রাষ্ট্রের প্ররো*চনায়- ভারতকে দরিদ্র বানিয়ে রেখেছে, অনুন্নত বানিয়ে রেখেছে, জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে।
ভারতের দুর্নীতিগ্রস্ত বিদেশী এজেন্ট রাজনৈতিক দলগুলো নিষিদ্ধ করা দরকার, আত্মঘাতী সংবিধান পরিবর্তন করা প্রয়োজন এবং উদ্ভট ধর্মনিরপেক্ষতা নিষিদ্ধ করার বিকল্প নেই। জাতীয়তাবাদী গণঅভ্যুত্থান ব্যতীত এই সমস্ত জরুরি চিকিৎসা সম্ভব নয়। এখনই যদি ভারতের মারাত্মক ক্ষয়রোগ সমূহের যথাযথ দাওয়াই প্রয়োগ করা না হয় - তাহলে গ্রেটার পাকি*স্তানে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................