ধর্মানুভুতির অভিযোগে ভারতকে অচল করাই উদ্দেশ্য।

#savenupursharma 
#IsupportNupurSharma 
ধর্মানুভুতির অভিযোগে ভারতকে অচল করাই উদ্দেশ্য। 
✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️✍️

 ধর্মগ্রন্থে উল্লেখিত কোন ঘটনা প্রকাশ করলে যদি ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেয়া হয় বলে প্রতিয়মান হয় তাহলে সেই গ্রন্থ থেকে সেই সব আপত্তিজনক কথাগুলো বাদ দেয়া হয় না কেন?ইসলামের ধর্মগুরু হযরত মুহাম্মদ মোট ১১টি বিয়ে করেছিলেন এরমধ্যে আয়েশা নামে একজন মেয়েকে তিনি ৬ বছর বয়সে বিবাহ করেন এবং ৯ বছর বয়সে তার সাথে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন।এটি গ্রন্থে উল্লেখিত একটি বিষয়।সহি বুখারি শরিফের ভলিউম
নং-৭,বই-৬২,হাদিস নং-৬৫ তে, "আয়েশা হতে বর্নিত মহানবী তাকে ৬ বছর বয়সে বিয়ে করেন ৯ বছর বয়সে তাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়।হিসাম জানিয়েছিল আমি জেনেছি আয়েশা মহানবীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৯ বছর যাবৎ বিবাহিত জীবন অতিবাহিত করেছিলেন।এটি গ্রন্থে উল্লেখিত প্রমাণ। 

এ নিয়ে অমুসলিমরা কোন কথা বলতে পারবেনা,বললে তার বিরুদ্ধে ধর্মানুভুতিতে আঘাতের অভিযোগ আনা হয়।এটি একটি ধর্মীয় বিধান।কিন্তু কোন বিশিষ্ট আলেম বা জাকির নায়েকের মতো ইসলাম প্রচারক যদি হযরত মুহাম্মদের বহু বিবাহ এবং আয়েশার মতো ৬ বছরের শিশু কন্যাকে বিয়ের কথা বলে তাতে কোন অপরাধ হয়না।

সম্প্রতি এমন একটি ঘটনা দিল্লির একটি  টেলিভিশন চ্যানেলে বসে বিজেপির একজন মুখপাত্র নুপুর শর্মা প্রতিপক্ষের কোন কথার জবাব দিতে গিয়ে হযরত মুহাম্মদ যে ৬ বছরের শিশুকন্যাকে বিবাহ করেছিলেন সে কথা বলেছিলেন।এতে তার বিরুদ্ধে ধর্মানুভুতিতে আঘাতের অভিযোগ আনা হয়।এ নিয়ে সারাদেশ তোলপাড় হয় মুসলিম দেশ কাতার সরকার সে দেশে ভারতীয় দূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানায়।এছাড়া সৌদি আরব কুয়েত এবং ইরানের মতো দেশ যাদের সাথে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে তারাও এব্যাপারে প্রতিবাদ জানায়।ওয়াইসি(OIC) বিজ্ঞপ্তি জারি করে এঘটনার প্রতিবাদ করে।মুসলিম বিশ্ব যখন উত্তাল তখন ভারত বাধ্য হয়ে এই ঘটনার জন্য নুপুর শর্মাকে বিজেপি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করে এবং তার বিরুদ্ধে  দিল্লিতে FIR দায়ের করে।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এই ঘটনায় পরিস্কার বলে দিয়েছে ভারত সব ধর্মকে সম্মান করে।এ নিয়ে কোন ধরনের প্ররোচনায় ভারত পা দেবে না। ঘটনা যখন সরকার প্রায় সামলে নেয় তখন একটি চিহ্নিত মহল সারাদেশে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয়।এতে অনেক জায়গায় দাঙ্গার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে হত্যা ও ধর্ষনের হুমকি দিতে থাকে।

ভারত একটি গনতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ।এখানে সরকারিভাবে কোন একক ধর্মের পক্ষে কোন অনুষ্ঠান বা কর্মসূচি পালন করা হয় না।ভারতীয়রা এতটাই সহনশীল যে হিন্দু ধর্মের নামে প্রকাশ্যে কেউ বিষোদগার করলেও কোন প্রতিবাদ হয় না।জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ এবং ত্রিশূল পাওয়া যাওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসলে প্ররোচনামূলক বহু ঘটনা উক্তি মুসলিমরা অহরহই করে যাচ্ছে।কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কেউ ধর্মানুভুতিতে আঘাতের অভিযোগে কোন মামলা প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ মিছিল করেনি।

মুসলিমরা কংগ্রেস এবং বামেদের সহযোগিতায়  ভারতকে পরাস্থ করতে চায়।তারা যেকোনো একটি  
স্পর্শকাতর বিষয় সামনে রেখে আবার একটি শাহিনবাগ সৃষ্টি করতে চায়।যেভাবে তারা নাগরিকত্ব বিল পাশের পর সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি  সৃষ্টি করেছিল আবারও তারা সে ধরনের একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে উঠে পড়ে লেগেছে।সরকার যেভাবে কৃষি বিল তুলে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল এবারও ধর্মানুভূতির ঘটনায় নুপুর শর্মাকে সাসপেন্ড করে পরিস্থিতি সামলে দেয়।এই ঘটনা আবার প্রমাণ করল ভারতের শত্রু শুধু ঘরে নয় বহির্বিশ্বেও সমানভাবে তৎপর।

please #IsupportNupurSharma
বিঃদ্রঃ © post

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted