বলা হয়ে থাকে ইসলাম ধর্মে অন্য ধর্মের আচার - অনুষ্ঠানকে শুভেচ্ছা - স্বাগত জানানোকে নাজায়েজ ঘোষণা করা হয়েছে। সেজন্য দেখা যায় কোন অতি ধার্মিক মুসলমান এই নাজায়েজ কাজটি করতে চান না। অথচ ইসলাম ধর্মে সুদ, ঘুষ, জ্বেনা, ব্যভিচার, মিথ্যা বলাকেও নাজায়েজ ঘোষণা করা হয়েছে কিন্তু সেইসব কাজগুলো বেশিরভাগ ধার্মিক মুসলমানরাও দেদারসে করে, ওখানে নাজায়েজের ভয় কাজ করে না!
আসল কথা হচ্ছে, বিগত এক শতাব্দী ধরে অধিকাংশ মুসলমানদের কাছে ইসলাম হয়ে পড়েছে রাজনৈতিক ও কাউন্টার এ্যাটাকের ধর্ম সেজন্য তারা ইসলামে নির্দেশিত কল্যাণমূলক কাজগুলো বাদ দিয়ে, নাজায়েজ কাজগুলো ত্যাগ না করে শুধুমাত্র "প্যান ইসলামিজ"র থিউরিতে ডুবে গেছে। যার জন্য ইসলাম নিয়ে প্রাচ্য - পাশ্চাত্য সবখানেই এখন ফোবিক চলছে-- এই দায় সেই তথাকথিত অতি মুসলমানের।
অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ দেয়ার মাঝে ইসলামের নিষেধ যদি থাকেও তার চাইতে ইসলামে বহুগুণে নিষেধ করা হয়েছে সুদ - ঘুষ খাওয়াকে। কই সুদ - ঘুষ নিয়ে তো আমাদের অতি মুসলমানদের এই ধরনের মাথাব্যথা দেখছি না বরং তারাও বিভিন্ন ইসলামি ফ্লেভার মিশিয়ে সেগুলো খাচ্ছে।
এই অতি মুসলমানদের যতোটা মাথাব্যথা ভিন্ন ধর্মের মানুষের আচার - অনুষ্ঠানকে স্বাগত জানানো নিয়ে ততোটা মাথাব্যথা যদি সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি নিয়ে থাকতো তবে এক একটা মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এক একটা বেহেশত হয়ে যেতো।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................