গত সপ্তাহে সুইডেনের একটি মুসজিদে বয়ান করতে গিয়েছিলাম। বয়ান দিচ্ছিলাম এইভাবে:
"ইহুদি, নাসারা, নাস্তিকরা ভালেনটাইন-ডেই, মাদার-ডেই, পহেলা বৈশাখ পালন করে। এইসব উৎসব পালন করা বেদাত, বেদাত, বেদাত।
আল্লাহরাব্বুল আলামিন আমাদেরকে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা দিয়েছেন। ঈদুল ফিতরে Muসলমানরা গরিবদের দুঃখ কষ্ট বুঝার জন্য সংযম করে, আর ঈদুল আজহাতে Muসলমানরা ত্যাগ স্বিকার করে। ইহুদি নাসারা কি পারবে এইরকম সংযম, ত্যাগ স্বীকারমূলক বরকতময় একটি দিবস বানাতে? কখনোই পারবে না....."
যথারিতি একটি নাস্তিক সামনের কাতারে বসা ছিল। নাস্তিক দেখলেই আমার গলা শুকিয়ে যায়। নাস্তিক আমাকে প্রশ্ন করল: "কিন্তু হুজুর, ভালেনটাইন-ডেই তে গরিবদের খাদ্যদ্রবের দাম বেড়ে যায় না। ত্যাগ ও সংযমের নামে গরিবের পেটে লাত্থি মারা হয় না।"
আমি রেগে গিয়ে প্রশ্ন করিলাম: "ওরে জাহান্নমি নাস্তিক, তুই কি বলতে চাস?"
নাস্তিক উত্তর দিল: "হুজুর, রোজার মাস যদি সংযমের মাস হতো, তাহলে তো জিনিষ পত্রের দাম কমে যাবার কথা ছিল। ইকোনমিকস বলে যখন কোন জিনিষের ডিমান্ড বেড়ে যায়, তখন সেই জিনিষের দাম অটোমেটিক ভাবে বেড়ে যায়।
রোজার মাসে Muসলমানরা খাদ্যদ্রব্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, খালি গিলতে থাকে, তাই সব খাদ্য দ্রব্যের দাম বেড়ে যায়। এরমানেই কি সংযম? আর আপনারা হুজুরা বলেন, একদিন মাদার ডেই তে মাকে ভালবেসে কি লাভ? Muসলমানরা সারা বছরই মাকে ভালবাসে। তাহলে তো বলতে হয় কোরবানির সময় একদিন গরিবদের গরু খাওয়ায়ে প্রোটিনের চাহিদা মিটিয়ে কি লাভ? গরিবদের তো সারা বছরই প্রোটিন দরকার। কোরবানি ঈদটা, একদিনের মাদার ডেই পালন করার মতো হয়ে গেলো না?"
আমি উত্তর দিলাম: "যারা রোজার মাসে জিনিষ পত্রের দাম বাড়ায়, এবং কোরবানীর সময় গরুর দাম বাড়ায় তারা সহি মুসলমান না। সহি মুসলমানরা কখনই রোজার মাসে জিনিষপত্রের দাম বাড়ায় না"
নাস্তিক উত্তর দিলো: "হুজুর, রোজার মাসে খ্রিষ্টান, নাস্তিক, ইহুদি নাসারাদের দেশে দ্রব্যমুল্য বাড়ে না। তাহলে কি ওরাই সহি Muসলমান?"
আমি উত্তর দিলাম:
"নাউযুবিল্লাহ মিন জালেক, ফি নারে জাহান্নামা!"
(নীল নিমো থেকে সংগৃহীত)
Rezaul Manik
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................