নবীর জন্মদিন পালন কি হারাম?

ইসলাম ধর্মের নবীর জন্মদিন পালন করা হলে মুসলমানদের মধ্যেই অনেক গ্রুপ আছে যারা সে জন্মদিনের মিছিলে বোমা মারে। কারণ জন্মদিন পালন বিদাত। নবীর জন্মদিন সাহাবীদের কেউ পালন করেনি। তাই ঈদে মিলাদুনবী কখনোই সমস্ত মুসলমানদের উদযাপিত অনুষ্ঠান ছিলো না।

যীশুর জন্মদিন হয়েছে খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় উৎসব। জন্মাষ্টমী হয়েছে হিন্দুদের বড় উৎসব। এমনকি বৌদ্ধরা বুদ্ধের জন্মদিনকে স্মরণ করে থাকে উৎসবের মত। অদ্ভুত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর শয়তানের এক মাস শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার পর মুক্তির দিনে পালিত হয়। এটা কি করে মুমিনের জন্য খুশির হতে পারে? ঈদুল আজহা হচ্ছে সন্তান কোরবানি করার বদলে পশু কোরবানি দেয়ার প্রথা। এটাও কি করে আনন্দের উৎসব হবে? বাকী থাকে শবে মেরাজ আর শবে কদর, এইদিন মুমিন কান্নাকাটি করে নিজের পাপ থেকে মুক্তি পেতে নফল নামাজ পড়ে। আর মিলাদুনবী তো বিদাত! বৈশাখ বিদাত। পহেলা ফাল্গুন বিদাত! হিন্দুদের পুজায় যাওয়া শিরক। বড়দিনের অনুষ্ঠানে যাওয়া শিরক। মুমিন মুসলমানদের জীবনে তাই আনন্দ নেই। বিনোদন নেই। মাদ্রাসার হুজুরদের, মসজিদের হুজুরদের এই নিরানন্দ জীবন অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয় পেশাগত কারণে। 



ফলে বালক পটু মেরে বা ছাত্রী রেপ করে বিনোদনের অভাব মেটায়। ইসলামে একাধিক স্ত্রী ও দাসীদের সঙ্গে খেলাখেলি ছাড়া সবরকম আনন্দ তামাশা বিনোদন হারাম। এমনকি অট্টহাসি দেওয়াও এখানে অপছন্দনীয়। মুচকি হাসিকে সুন্নত করা হয়েছে! পুজা দিয়ালী বড়দিনের উৎসব দেখে মুসলমানদের আফসোস থেকে জন্ম নিয়েছে অন্যদের অনুষ্ঠানে যাওয়া যাবে না। গেলে যদি কেউ ঈমান দুর্বল করে ফিরে আসে? এটাই ভয়।

Written by : সুষুপ্ত পাঠক

#copyrightfree

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted