কলিযুগ ও কল্কি অবতার

কলিযুগ ও কল্কি অবতার ঃ-

          খ্রীষ্টপূর্ব ৩১০১ অব্দে কলিযুগের সূচনা হয়। কলির জন্ম হল মাঘমাসের শুক্রবার। কলিযুগের মোট আয়ু চারলক্ষ বত্রিশ হাজার বছর। বর্তমানে কলিযুগের ৫১২৩ বছর চলছে। কল্কি অবতার কলিযুগের অন্তে মানে শেষের দিকে আর্বিভাব ঘটবে।

কল্কি ভগবান বিষ্ণুর ভবিষ্যৎ অবতার। তিনি এখনও অবতীর্ণ হননি। অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে তাঁর আবির্ভাব ঘটবে।

বিষ্ণুর দশম অবতার হলেন কল্কি, ভবিষ্যবানী হল যে কল্কি থার্মোনিউক্লিয়ার বিজ্ঞানের সাহায্যে মানব সমাজের দুঃখ দুর্দশা দূর করবেন।

পুরাণকথা অনুসারে কলিযুগ পাপে পূর্ণ হলে বিষ্ণু দুষ্টের দমনের জন্য কল্কি অবতারে আবির্ভূত হবেন। কল্কি অবতার কলিযুগ অবসানের জন্য হবে। যখন কলিযুগে মানুষ ধর্মপথ ত্যাগ করবে তখন ইনি প্রকাশ পাবেন।

শম্ভল গ্রামে (মোরাদাবাদ জেলায়) সুমতি নামে ব্রাহ্মণ কন্যার গর্ভে, বিষ্ণুযশা নামে ব্রাহ্মণের বাড়িতে, কল্কি নামে ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতারের আর্বিভাব ঘটবে। কল্কি হবে বিষ্ণুযশা-সুমতির চতুর্থ সন্তান। বিষ্ণুযশা-সুমতির প্রথম তিন সন্তানের নাম হবে যথাক্রমে কবি, প্রাজ্ঞ আর সুমন্তক।

কল্কিদেব অশ্বারোহনে সিংহল দ্বীপে যাইবেন। সিংহল দ্বীপের রাজা বৃহদ্রথ ও তাঁহার মহিষী কৌমুদী কল্কিদেবকে স্বীয় কন্যা পদ্মাবতীকে সমর্পণ করিবেন। কল্কিদেবের জয় ও বিজয় নামে দুই মহাবলশালী পুত্র জন্মিবে।

আবার ভল্লাটের রাজা শশিধ্বজ ও তাঁর স্ত্রী সুশান্তা স্বীয় কন্যা রমাকে কল্কিদেবের কাছে সমর্পণ করিয়া তাঁহাকে জামাতৃপদে বরণ করিবেন।

এরপর কল্কিদেব দিগ্বিজয় করিয়া তিনি সমস্ত ভারতের রাজচক্রবর্তী হইবেন এবং পিতার সঙ্কল্পিত অশ্বমেধ ও অন্যান্য অনেক যজ্ঞ সম্পাদন করিয়া বৈদিক ধর্মের পুনরুদ্ধার করিবেন।

এইরূপে সত্যযুগের পুনরাবির্ভাব হইলে কল্কিদেব অবতার দেহ ত্যাগ করিয়া গোলকে বিহার করিবেন।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম  হরে রাম  রাম রাম  হরে হরে... 

     জয় শ্রী কল্কি অবতার।
                  ------------------------  ভোলানাথ সিকদার।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted