কোরানের কোন কোন কথাটি সত্য?প্রথম মুসলিম কে ?
ক) মুহম্মদ খ) ইব্রাহিম গ) মুসা ঘ) মিসরীয়রা?
উত্তর বেছে নিয়েছেন ?
এবারে মিলিয়ে দেখুন, চারটি উত্তরই সঠিক।
ক) মুহম্মদ (সুরা ৬.১৪)
“আমাকে তো এই আদেশ করা হয়েছে যে, সকলের আগে আমিই তার সামনে মাথা নত করে দেবো।"
খ) ইব্রাহিম (সুরা ৩.৬৭)
“ইব্রাহিম না ছিলো ইহুদি, আর না ছিলো খ্রিষ্টান, বরং সে তো ছিলো একনিষ্ঠ মুসলিম।"
গ) মুসা (সুরা ৭.১৪৩)
“আমি তোমার দরবারে তওবা করছি, আর সর্বপ্রথম আমিই ঈমান আনছি।"
ঘ) মিসরীয়রা (সুরা ২৬.৫১)
“আর আমাদের আশা আছে যে, আমাদের প্রভু আমাদের গুনা মাফ করে দেবেন। কেননা, আমরা প্রথমেই ঈমান এনেছি।"
পরম বিনোদনের ব্যাপার এই যে, একজন খাছ মুছলিম কোরানের অজস্র পরস্পরবিরোধী বাণী ও অগণ্য ভুল নিজে চোখে দেখলে বা অনুধাবন করলেও অবলীলায় দাবি করে - এই কিতাবখানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ, যা সম্পূর্ণরূপে নিখুঁত, যাতে কোনও ভুল নেই। কোরান যে নির্ভুল গ্রন্থ এটা কিভাবে প্রমানিত? এই প্রশ্নের উত্তরে মুসলমানরা বলে, এ কথা কোরানেই লেখা আছে,
"এই সেই গ্রন্থ, যাতে কোনো সন্দেহ নেই।" (কোরান, ২/২)
ঘটনা এমন যে, “আমিই পৃথিবীর একমাত্র সত্যবাদী ব্যক্তি।” এটার প্রমান কী ? প্রমানের কী দরকার, কথাটা তো স্বয়ং আমিই বললাম।
এটা একটা সাধারণ ব্যাপার যে, নিজের সম্পর্কে বলা আমার এই কথা যেমন সঠিক নয়, তেমনি কোরান সম্পর্কে বলা, কোরানের এই কথাও বোগাস। কোরানে যদি এমন বলা থাকতো যে, “এতে যদি কোনো অসঙ্গতি থাকে, তোমরা তা খুজে বের করো”-তাহলে বোঝা যেতো কোরানের শক্তি। নিজের ঢাক নিজে বাজানো ব’লে যে একটা কথা আছে, কোরান আসলে তাই।
এ প্রসঙ্গে একটা কথা মনে রাখা খুবই জরুরী যে, কোরানের একটা ভুল মানে, ইসলাম পুরোটাই ভুয়া।
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................