লিখেছেন : সুষুপ্ত পাঠক Susupto Pathok
#ডিসেম্বর মাস আসলেই #বাংলাদেশের অল্প কিছু মানুষ বিজয়ের মাস হিসেবে খুবই আবেগপ্রবণ থাকে। কিন্তু দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে এসবের কোন মূল্য নেই। তাদের আছে #মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনিহা আর বিরক্তি। তাদের সবাইকে ‘#রাজাকারের গুষ্ঠি’ বলে চালিয়ে দিলে সত্য অপ্রকাশিত থেকে যাবে। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের সময় ঈদুল ফিরতের কিছু ইতিহাস তুলে ধরলেই বুঝতে পারবেন এই দেশের মানুষ আদৌ বাংলাদেশ চেয়েছিলো কিনা। দ্বিতীয়ত যারা বাংলাদেশ চেয়েছিলো তারা আসলে #পাকিস্তানী অপশাসন থেকে মুক্তি চেয়েছিলো, পাকিস্তানের আদর্শ থেকে নয়। #দ্বিজাতিতত্ত্বের আদর্শ থেকে তারা মুক্তি চায়নি। ‘মুসলিম জাতীয়তাবাদই’ আসলে ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদে’ রূপ নিয়েছিলো...।
#১৯৭১ সালের রোজার #ঈদ তথা ঈদুল ফিরত হয় ২০ নভেম্বর। যথারীতি ঢাকাতে ঈদের কেনাকাটার জন্য দোকানপাট খোলা ছিলো। লোকজন #পোলাও মাংস খেয়ে নতুন জামাকাপড় পরে ঘুরেছে। বলাই বাহুল্য মুক্তিযুদ্ধে স্বজন যোগ দিয়েছে এমন পরিবারের চিত্রটা ছিলো ভিন্ন। তাদের #স্মৃতিকথাতেই উঠে এসেছে যুদ্ধের সময় ঈদের চিত্র। এইসব মানুষ বলতে চেয়েছেন যুদ্ধের সময় ঈদ তাদের কাছে কোন আনন্দের ছিলো না। তবে কিছু মানুষের যেন আনন্দের কোন অভাব ছিলো না...। এই ‘কিছু মানুষ’ আসলে তাদেরই মত সাধারণ মানুষ। ঢাকা শহরে তখন একজনও #হিন্দু নেই। অন্তত স্বপরিচয়ে। কিন্তু মুসলমানরা তো যুদ্ধের সময়ও ঈদ করছে। ঈদের #নামাজ পড়তে যাচ্ছে। আবার কিছু মানুষ ঈদের নামাজ পড়েনি ক্ষোভে। কারণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এইসব মানুষের যুক্তি ছিলো ‘যুদ্ধের সময় ঈদের নামাজ #জায়েজ নেই’!
একটি স্মৃতিকথা লিখেছিলেন #কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আব্দুল গফুরের কন্যা ও পরে পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক উপ-প্রধান জেবুননেছা জুবি #গৌরবের একাত্তর এবং’ শিরোনামে। সেখানে তিনি লিখেছেন, “৩ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর)। পবিত্র রমজান শেষে আজ ঈদ। তখনো বিছানা ছেড়ে উঠিনি। অন্ধকার তখনো পরিস্কার হয়নি। এমনই সময় প্রচণ্ড কামানের শব্দ শোনা গেল। প্রথমে ভাবলাম, আজ ঈদ তাই হয়তো সংকেত দিচ্ছে। দ্রুতই বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লাম। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখলাম, কোথাও লোকজনের কোনো সাড়া নেই। প্রতিবারের মত এবারের ঈদ স্বাভাবিকভাবে আসেনি। তাই মনে হচ্ছে না আজ ঈদ। চারদিকে যেন করুণ সুর বাজছে। আজ কত সন্তানহারা মা চোকের জল ফেলছে নীরবে। মাতৃহারা বোন কাঁদছে। স্বামী-পুত্র-কন্যাহারা নারীর করুণ আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভরে উঠছে। এমন দিনে কী ঈদ করা যায় ? তাই পণ করেছি ঈদ করবো না। সেদিন আমরা #স্বাধীনতা পাবো সেদিন ঈদ করবো। কিন্তু সত্যি কি সব মানুষ ঈদ করা থেকে বিরত ছিলো? না ছিলো না। হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার এবারে যেন বেশি আনন্দ করছে। ঈদের নতুন শাড়ি আর গহনা পড়ে বের হয়েছে #বেড়াতে। ওরা কি বাঙালি! ওদের কি মনুষত্ব আছে!
#এই ‘হাতে গোণা’ শব্দটি আরোপিত। কেননা সাধারণ মানুষ নিজেদের খাওয়া পরা জীবনযাপন ছাড়া বিশেষ কোন আদর্শের জন্য নিজেদের এতটুকু #শান্তি বিঘ্নিত করতে রাজি নয়। বরং বিঘ্ন ঘটতে দেখলে তারা বিরক্ত হয়। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের মুখে ‘গন্ডগলের সময়’ শব্দটি পরবর্তীতে স্মৃতিচারণে যুক্ত হতে দেখা গেছে। যুদ্ধটা যদি সমগ্র দেশে জাতি ধর্ম পরিচয়ের উপর চেপে বসত তাহলে সাধারণ মানুষের মনে সত্যিই ঈদের কোন আনন্দ থাকত না। কিন্তু পাকিস্তানীরা হিন্দু, মুক্তিযুদ্ধে জড়িত #পরিবারগুলিকে টার্গেট করেছিলো। কোন হিন্দু তো একাত্তরে দোকানপাট খুলে বসতে পারেনি। বাজার সদাই করতে যায়নি। তারা সীমান্ত পার না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি। আমিরুল ইসলাম তার স্মৃতিচারণে তার #পরিবারের ঈদের কথা লিখেছেন। তিনি সেখানে যুদ্ধের সময়ের ঈদে ‘আনন্দের ছিঁটেফোটাও ছিলো না’ উল্লেখ করার পরও তার কথাতেই বেরিয়ে এসেছে অন্য এক ইতিহাস। তিনি লিখেছেন, “পুরোনো ঢাকায় ঈদের দিন খুব #জাঁকজমক হয়। কিন্তু একাত্তরের ঈদে তার ছিঁটেফোঁটা চিহ্নও ছিল না। ছেলেপুলেরা রং-বেরঙের জামাকাপড় পরে ঘুরে বেড়িয়েছে ঠিকই কিন্তু কোথাও আনন্দ ছিল না। যুদ্ধ কবে শেষ হবে, কবে আবার স্বাভাবিক হবে সবকিছু সবার মনে এই একই চিন্তা। আমার আব্বা ছিলেন ঘোরতর #যুদ্ধবিরোধী মানুষ। তিনি ঘরে বসে হঠাৎ হঠাৎ আপন মনে চিৎকার করে উঠতেন। ... সেবার ঈদের দিনেও আব্বা সকালের দিকে চিৎকার শুরু করলেন একা একা। কেন যুদ্ধ চলছে? এই যুদ্ধের শেষ কোথায়? কতদিন এই #যুদ্ধ চলবে? আব্বা নিজে নিজেই প্রশ্ন করছেন। নিজেই উত্তর দিচ্ছেন। আর যুদ্ধের কারণে তার যে ব্যক্তিগত ক্ষতি হচ্ছে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় হচ্ছে- সেই বিষয়টাই তিনি হাহাকার করে চিৎকার করছেন। একাত্তরের বিবর্ণ, বিষণ্ন #ঈদের স্মৃতি বলতে নামাজ পড়া, পোলাও খাওয়া আর বড়দের পায়ে ধরে সালাম করা- এসব কিছুটা মনে আছে।’
#আমিরুল ইসলামের বাবার মত সাধারণ মুসলমানদের কাছে যুদ্ধটা এমনই। আমরা যেমন এখন বলি আওয়ামী লীগ বিএনপি যে-ই ক্ষমতায় যাক আমাদের কি, আমাদের তো কাজ করে খেতে হবে’ ঠিক একই #রকমভাবে মুক্তিযুদ্ধকে মুজিব ইয়াহিয়াদের ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াই মনে করে নিজেদের ব্যক্তিগত ক্ষতিই তাদের কাছে মুখ্য ছিলো। সাধারণ মুসলমান তারা যেহেতু ব্যবসা চাকরি জীবপযাপন করতে পারছে যুদ্ধটা তাদের কাছে #যুদ্ধ মনে হওয়ার কথা নয়। ঈদের দিন গরুর মাংস দিয়ে পোলাও যারা খেতে পেরেছে তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইহুদীদের যুদ্ধ অভিজ্ঞতা কি এক হতে পারে? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তো ইহুদীদের স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি। কিন্তু #বাঙালি মুসলমান সাড়ে তিন বছরে সব ভুলে গিয়ে জুলফিকার আলী #ভুট্টকে দেখতে রাস্তায় ভেঙ্গে পড়েছিলো উচ্ছ্বসিত হয়ে! মুক্তিযুদ্ধের #শরণার্থীদের ৯৫ ভাগই ছিলো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। মুক্তিযুদ্ধ তাই বহুকাল তাদের তাড়িয়ে বেরিয়েছিলো।
#শিল্পী হাশেম খান #মুক্তিযুদ্ধের সময় ঈদের স্মৃতি লিখতে গিয়ে তার ঈদের নামাজ পড়তে যাবার কথা লিখেছেন। এটা একটা স্বাভাবিক জীবনযাপনের প্রমাণ। তখন ঢাকায় কোন হিন্দুর পক্ষে কি এরকম কিছু সম্ভব হতো? কেন হতো না? ঢাকার ঈদের নামাজের মুনাজাতে সাধারণ মুসলমানরা ‘আমিন’ #বলে সেসব দোয়ার সঙ্গে #একাত্ততা জানিয়েছিলো সে তথ্য জানতে পারি হাশেম খানের স্মৃতিকথায়। তিনি লিখেছেন, “আজ ঈদ। আনন্দের দিন। #উৎসবের দিন, আনন্দের দিন। কিন্তু কী আনন্দ করবো এবার আমরা? নতুন জামা কাপড় বা পোশাক কেনাকাটার আগ্রহ নেই! শিশু-কিশোরদের কোনো আবদার নেই। চাওয়া-পাওয়া নেই। বাড়িতে বাড়িতে কি পোলাও #কোমরা ফিরনী রান্না হবে? আমার বাড়িতে তো এসবের কোনো আয়োজন হয়নি। প্রতিটি #বাঙালির বাড়িতে এরকমই তো অবস্থা।
... #তিনতলার বারান্দা থেকে #আরামবাগের শুরু ও ফকিরাপুল বাজারের মাঝামাঝি অবস্থানে মসজিদটি দেখা যায়; সকাল ৮ থেকে মাইকে ঘোষণা দিচ্ছে সাড়ে ৯ টায় নামাজ হবে। যথাসময়ে মসজিদে গিয়ে হাজির হলাম। #নামাজ হলো, খুৎবা হলো, #মোনাজাতও হলো। খুৎবা ও মোনাজাতে ইমাম সাহেব পাকিস্তানের কল্যাণ কামনা করে এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর #গুণকীর্তন করে দোয়া #চাইলেন খোদার কাছে।
ইমাম সাহেব হয়তো #রাজাকার ও পাকিসেনাদের দালালদের শোনানোর জন্যই অত জোরে শব্দ করে মোনাজাত জানাচ্ছেন, আল্লাহর কাছে কাঁদছেন, তাতে তার অন্তরে সায় কতখানি ছিল জানি না। তবে বাঙালি মুসল্লি কেউই #যে ইমামের #মোনাজাত কর্ণপাতও করেনি তা আমার দৃঢ় বিশ্বাস”
#হাশেম খানের দৃঢ় #বিশ্বাস কি #স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর্ পর্যন্তও টিকে আছে? আমার জানা নেই। স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে পাকিস্তানের প্রতি এদেশের মানুষের #ভালোবাসার প্রমাণ দেখা গেছে। সেদিনের মুনাজাতে #বাঙালি মুসল্লিদের কেউ কর্ণপাত করেনি সে বিষয়ে হাশেম খানও নিশ্চিত নন বলেই তিনি লিখেছেন ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস’ বাক্যটি। বাঙালি মুসলমান #পাকিস্তানের জন্ম দিয়েছে। ‘পাকিস্তানী’ এই পরিচয়টি নিয়ে সত্যিকারের গর্ব করেছে বাঙালি মুসলমানরা। তারা ‘মুসলিম জাতীয়তাবাদ’ ত্যাগ করেছিলো এমন কোন #রাজনৈতিক প্রমাণ নেই। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেও তার কোন সচেতন প্রতিষ্ঠার কোন তথ্য নেই। বরং উল্টো চিত্র আমরা দেখতে #পাই। স্বাধীন বাংলা #বেতার কেন্দ্র থেকে ঈদের দিন সে কথিকা পাঠ করা হয় #সেখানে দুঃখভারাক্রান্ত কন্ঠে নারী ও পুরুষ কন্ঠে বলা হতে থাকে-
“#ওরে #বাংলার #মুসলিম তোরা কাঁদ
এনেছে #এজিদ বাংলার বুকে #মোহাররমের চাঁদ।
এসেছে কাশেম এসেছে সখিনা সারা দেহে হায় তপ্ত খুন
আজ নয় #ঈদ, আজ কোটি কোটি মুখে ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন।’
#পুরুষ কণ্ঠ :
... #এজিদ বলেছিল, #আরবের #মুসলমানকে খেলাফত দেবো না। আমি চাই #সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে। #ইয়াহিয়া বলছে, বাংলার মুসলমানকে আমি গণতন্ত্র ও স্বাধিকার দেবো না। আমি চাই মিলিটারি #ফ্যাসিজম কায়েম রাখতে। আলোচনার নামে #এজিদের বন্ধু কুফার #বিশ্বাসঘাতক মুসলামানেরা #মহানবীর নয়নমণি ইমাম #হোসেনকে পথ ভুলিয়ে নিয়ে গিয়েছিল #কারাবালায়। তার #পিপাসার্ত স্ত্রী, পুত্র, শিশুকে একফোটা পানি পর্যন্ত দেয়নি খেতে। এ যুগে ইয়াহিয়া আলোচনার নামে বাংলার নয়নমণি বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করেছে। আজ তিনি কোথায় কেউ জানে না। কেউ জানে না...”
#বলাই হচ্ছে #ইয়াহিয়ার #ফ্যাসিজম থেকে বাঁচাই তাদের যুদ্ধ। এখানে #সেক্যুলার রাষ্ট্রচিন্তার কোন ছিঁচেফোটা নেই। কোন সেক্যুলার রাজনৈতিক চিন্তা থেকে এইভাবে #মুসলমানদের #খিলাফত নিয়ে সংঘঠিত গৃহযুদ্ধের সঙ্গে #মুক্তিযুদ্ধের তুলনা দিবে না। আবার বলা চলে, যেহেতু দ্বিজাতিতত্ত্বের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মধ্যে গৃহযুদ্ধ হয়েছে তাই তুলনাটা #ইয়াজিদ ও ইমাম হোসেনের সঙ্গেই তো আসবে! #সাহিত্যিক আবু জাফর #শামসুদ্দিন যেমন তার #ঈদের নামাজ না পড়ার কারণ হিসেবে স্মৃতিকথা লিখেছেন ‘যুদ্ধের সময় ঈদের নামাজ জায়েজ নয়’, তিনি লিখেছেন, “ঈদের দিন শনিবার। যুদ্ধকালে কোনো জামাত #জায়েজ নয়। #নামাজে যাইনি। কনিষ্ঠ পুত্র কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ৯টায় #সিদ্দিক বাজারের উদ্দেশ্যে বেরোলাম। #রিকশায় চড়ে দেখি, সড়ক জনমানবশূন্য। #টেলিভিশন অফিসের (ডি.আই.টি. বিল্ডিং) সম্মুখে যেতে রিকশা ফিরিয়ে দিল। ট্রাকে ট্রাকে টহল ও পাহারায়ও #মিলিটারি...”
#শেষ করি #সুনীল #গঙ্গোপাধ্যায়ের #নভেম্বর মাসে সাতক্ষীরার মুক্তাঞ্চলের অভিজ্ঞতার কথা বলে। সুনীল #আনন্দবাজারের কয়েকজন সাংবাদিক ও #মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে #সাতক্ষীরায় যান তখন সেটা মুক্তিবাহিনী মুক্তাঞ্চাল ঘোষণা করেছে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন পূর্ববঙ্গের লোকজন দ্বিধা শংকায় মুখ গোমড়া করে আছে। কথা বলে তিনি জানতে পারলেন তাদের আসলে ভয় স্বাধীন হলে #বাংলাদেশ কেমন হবে তা নিয়ে। তারা ভয় পাচ্ছে আবার কি #হিন্দুরা সবাই ফিরে আসবে? #দেশভাগের আগের মত হিন্দুদের সংখ্যা দাঁড়াবে...? #সুনীলের ‘আমি কি বাঙালি’ বইয়ের একটা ছোট্ট চ্যাপ্টারে সেই #অভিজ্ঞতার কথা লেখা আছে। #পড়ে দেখতে পারেন...।
[#তথ্যসূত্র : #একাত্তরের ঈদ, বাশার খান, #বাংলা #ট্রিবিউন/একাত্তরের দিনগুলি, জাহানারা ইমাম/আমি কি বাঙালি, সুনীল #গঙ্গোপাধ্যায়।]
copyright© 2022 Susupto Pathok aka সুষুপ্ত পাঠক all rights reserved.
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................