কেন কিছু আলেম মাইকে আযান দেয়ার কট্টর বিরোধী

আরবীতে একটা প্রশিদ্ধ প্রবাদ আছে "কুল্লু জাদিদিন লাযিযুন" প্রত্যেক নতুন জিনিস মজাদার। মূলা যখন বহুদিন পরে বাজারে আসে তখন তার কী কদর! চড়া দামে কিনে আনে আবার স্বাদও লাগে কিন্তু কদিন যেতে যেতে আর ভাল্লাগেনা, কয় মূলা খাইলে নাকি কম্বল গরম হয়ে যায়।

আজান হঠাৎ শুইনা খুব মজা লাগতেছে যাদের তাদেরকে ঢাকা শহরের চারদিকে মসজিদওয়ালা কোনো চিপা মহল্লার একটা বাড়িতে কদিন থাকতে দিলে ঠিকই বুঝবে মজা আসলে কতখানি।

ভুঁইফোঁড় পোর্টালগুলার কথা না হয় না-ই বললাম আমাদের মূল ধারার মিডিয়াগুলোও মাশাল্লা কম যায় না, বৃহত্তর সাগু সম্প্রদায়কে কিভাবে খুশি করা যায় আর ভিউ কিভাবে বাড়ানো যায় এটাই যেন আজকাল তাদের সাংবাদিকতার মূখ্য উদ্দেশ্যে পরিণত হয়েছে।

নোটঃ আলেমদের একটি অংশ মাইকে আযান দেয়ার কট্টর বিরোধী, তারা এটাকে বেদয়াত, হারাম এমনকি শিরক পর্যন্ত বলে। ফেনীর সুপ্রশিদ্ধ উলামাবাজার মাদ্রাসা, কুমিল্লা লাকসামের জালালিয়া দরবারসহ এমন অনেক জায়গায় এখনো মাইকে আযান দেয়া হয়না। কিন্তু এসব চাপিয়ে এখন সমাজে চলছে কার মসজিদে মাইক কত বেশি, কোন মসজিদের আযান কতদূর পর্যন্ত যায় এসবের অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এগুলো যে ধর্ম পালনের চাইতেও ধর্মের অতিমাত্রায় জাহির তা বলাই বাহুল্য।

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted