দুটো জায়গাকে টার্গেট করা হয়েছে। একটা পর্যটন এলাকা, দুই হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা।

দুটো জায়গাকে টার্গেট করা হয়েছে। একটা পর্যটন এলাকা, দুই হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ভাড়া করে আনা হয় নওমুসলিম ওয়াজিদের। এদের ওয়াজের একমাত্র বিষয় হচ্ছে হিন্দুদের ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে অপমান করা। এটা তাদের রুটি-রুজি। হিন্দু এলাকায় ওয়াজ মাহফিল করে মাইকগুলি মন্দির ও বসতবাড়িগুলির কানের সামনে লাগানো হয়। যাতে হিন্দুরা তাদের দেবদেবীদের নিয়ে নোংরা আক্রমনগুলি শুনতে পায়, হিন্দুদের চরিত্র নিয়ে কটুক্তিগুলি শুনতে পায়। এগুলো বলছে একসময় হিন্দু ছিলো এমন এক নওমুসলিমের মুখে- এই পৈশাচিক বিনোদন মুসলমানদের অধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়। এসব ওয়াজ শুনে হিন্দুরা নিজেদের ধর্মত্যাগ করে না। কিন্তু মুসলমানরা হিন্দুদের গালাগালি শোনানোকে তাদের ধর্ম প্রচার মনে করে এবং এসব তাদেরকে #অর্গাজমের সুখ এনে দেয়। এর প্রতিবাদ করতে গেলে হিন্দু পাড়ায় আগুন জ্বালিয়ে দিবে তৌহিদী জনতা...।

#আর পর্যট্রন এলাকাগুলোতে যখন মানুষ ঘুরতে যায়, এদেরকে দেখে ঈর্ষাকাতর হয়ে উঠে হুজুর শ্রেণী। কারণ তারা তাদের পরিবার নিয়ে এভাবে ঘুরতে পারে না। নিজেরাই নিজেদের জালে বন্দি। বউ নিয়ে পাহাড়ে সমুদ্রে “বেপর্দা” হয়ে ঘুরে বেড়ানোর সখ হুজুরদেরও আছে। মাদ্রাসার “হুজুর জীবন” থেকে তো তাদের মুক্তি নেই। তাদের বাপ-মা তাদের জীবনটা শৈশবেই শেষ করে দিয়েছেন “হুজুর” বানিয়ে। এখন #হুজুরের মেসির খেলা দেখার সখ থাকলেও দেখতে পারে না কারণ লোকে বলবে হুজুর মানুষ নামাজ ফেলে খেলা দেখে ছি:! হুজুর টিভি দেখে এটা কোথাও স্বীকার করতে পারে না। নিজের বন্ধুর কাছেও বলতে পারে না সে সানি লিওন মিয়া খলিফার ভিডিও দেখেছে। হুজুর মানুষ রঙ-বেরঙের জামা পড়তে পারে না। সাদা লম্বা ঢোলা জামা কি সব সময় মানুষের ভালো লাগে? একটা ল্যাজ-কাটা শেয়াল জানে ল্যাজহীনতার কষ্ট। তাই সে স্বপ্ন দেখে একদিন সবাই ল্যাজ নিজে থেকে কেটে ফেলবে তখন সে সমান সমান হয়ে যাবে। তাই সবাইকে ল্যাজ কেটে ফেলার কথা বলে। হুজুরও ওয়াজে মাদ্রাসায় মসজিদে তাদের মত সাদা পায়জাম পাঞ্জাবী টুপি পাগড়ি ‘ইসলামী পোশাক’ পরতে পরামর্শ দেয়। খেলা দেখতে না করে। সিনেমা দেখতে না বলে। বউকে পর্দায় রাখতে বলে ঘরের বাইরে নিয়ে যেতে নিষেধ করে। সবাই যখন তাদের মত হয়ে চলবে তখন তাদের “হুজুর জীবনের” কষ্ট সমান সমান হয়ে যাবে! এ কারণে পর্যটন এলাকায় ওয়াজ করে মাইক বাজিয়ে। কক্মবাজারে তাবলীগের টিম ঘুরে বেড়ায়। পাহাড়ে গিয়ে তাবলীগ করে। উদ্দেশ্য সবাই যেন তাদের মত ‘হুজুর’ হয়ে যায়! এই তাড়নায়তেই এই শীতকালটা সবাইকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দিচ্ছে ধর্ম ব্যবসায়ীরা!

#সুষুপ্ত #পাঠক #Waj #Huzur #tourism  #HindureligiousabuseofBangladesh #SusuptoPathok

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted