সৌদি আরব সহ সমস্ত মুসলিম দেশ কেন মুসলিম উদ্বাস্তুদের গ্রহণ করে না কেন শরণ দেয় না,,?

সৌদি আরব সহ সমস্ত মুসলিম দেশ কেন মুসলিম উদ্বাস্তুদের গ্রহণ করে না কেন শরণ দেয় না,,?

সমস্ত মুসলিম শরণার্থী কেন সমৃদ্ধ মুসলিম দেশগুলির পরিবর্তে সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নরওয়ে, ফ্রান্স, আমেরিকা বা ভারতের মতো অ-ইসলামিক দেশে আশ্রয় নেয়,,? 

এর কারণ হল "হিজরত",,,,

আসলে মুসলিমদের ইসলামি দেশ থেকে অইসলামিক দেশে হিজরত (migration) কোনো কারণ ছাড়াই ঘটে না, এর পেছনের মূল কারণ হলো বিশ্বে ইসলাম প্রচার ও প্রসার, ইসলাম তখনই ছড়িয়ে পড়বে যখন মুসলমানরা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়বে, এই ব্যবস্থাকে "হিজরত" বলা হয়, সারা বিশ্বে ইসলাম প্রচারের জন্য এটাই ইসলামী ব্যবস্থা, মাদ্রাসা এবং মসজিদে এটি একটি ধর্মীয় কর্তব্য হিসাবে পড়ানো হয়, 

সৌদি আরব, যেটি সবচেয়ে একনিষ্ঠ ইসলামিক দেশ, সেও মুসলমানদের শরণার্থী হিসাবে গ্রহণ করে না, তবে অন্যান্য দেশে মুসলিম শরণার্থীদের জন্য যথেষ্ট অর্থ সাহায্য করে মাদ্রাসা এবং মসজিদের মাধ্যমে, এভাবেই ইসলাম প্রচারের সর্বোত্তম পন্থা তৈরি করা হয়,,,,

ইসলামের দ্বিতীয় নিয়ম হল সমগ্র বিশ্বকে ইসলামী অনুসারী এবং অইসলামিক (কাফের) দেশে বিভক্ত করা, অর্থাৎ ইসলাম বিশ্বকে দু ভাগে ভাগ করে এক হল দারুল ইসলাম আর দুই হল দারুন হরব, যেখানে কাফের শেষ হয়ে গেছে তাকে "দারুল ইসলাম" বলা হয় যা শেষ হয়ে গেছে অর্থাৎ যেই দেশ ইসলামীকরণ হয়ে গেছে, "দারুল হরব" তাকে বলা হয় অর্থাৎ যেখানে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ চলছে, মনে রাখার মতন বিষয় হলো যে অমুসলিম দেশগুলিতে 90% মুসলিম শরণার্থীরা মুসলিম দেশ থেকেই আসে, তারা একই ধর্ম থেকে জন্মগ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক লড়াইয়ের কারণে তারা দেশান্তরিত হয় এবং এর মধ্যে একটা অভ্যন্তরীণ মিল এই যে, যুদ্ধ না হলে হিজরত হবে না এবং হিজরত না হলে মুসলমান ছড়িয়ে পড়বে না আর মুসলমান না ছড়ালে ইসলাম ছড়াবে না,,,,

আপনি নিশ্চয়ই এমন কিছু দেখেছেন বা শুনেছেন,,,, একটি অনুপ্রবেশকারী বা একটি উদ্বাস্তু পরিবার জরাজীর্ণ অবস্থায় আসে, তাদের ছয় বা সাতটি শিশু রয়েছে, তাদের মধ্যে একটি শিশু আবার তাদের মহিলার পেটে বেড়ে উঠছে, শিশুদের অবস্থা শীর্ণকায়, না খাওয়া দাওয়া, ছেড়া জামা কাপড় পরিহিত অনেক দিন ধরে, কেউ দেখলেই মানবিকভাবে তাদের জন্য করুণা হবে এবং তাদের বাবা-মা হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে বলছে, "বাবা-মা, দয়া করে আমাদের কিছু জায়গা দিন যেখানে আমরা এবং আমাদের সন্তানরা রোদ-বৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকতে পারব, আমরা যে কোন জায়গায় আমাদের জীবিকা উপার্জন করে নিতে পারবো", গ্রামের বা ছোট শহরের ভালো মানুষ তাদের আশ্রয় দেয়, দয়া দেখায়, তাদের পরিবার গড়ে তোলার সুযোগ দেয়, তাদের ক্ষেতে কাজ দেয়, তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ দেয়, কিন্তু তারা যত বেশি শক্তিশালী হয়, তারা তত বেশি গোড়া মজহবি হয়, তারা মজহবি মৌলবাদী লোকদের সংস্পর্শে আসে, তারা স্থানীয় কট্টর মৌলবাদী লোকদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে শুরু করে, তারপর তারা অত্যন্ত কট্টর মজহবি হয়ে ওঠে, কট্টর মানে একেবারে চরম, আসমানী কিতাবের অনুসরণকারী, যে ভালো মানুষগুলো তাদের গ্রামে থাকতে এবং বড় হতে দিয়েছিল তারা এখন বিরক্ত বোধ করতে শুরু করে, এখন তাদের শত্রু হিসাবে দেখা হতে শুরু করেছে এই মজহবিরা, তাদের কাফের হিসাবে দেখা হতে শুরু করেছে এই কট্টর মজহবিরা, তাদের পুত্রবধূ এবং কন্যাদের নিছক শ্লীলতাহানির খেলনা হিসাবে দেখা শুরু হয়েছে, যখনই তারা চাইবে, এবার শুধু দাঙ্গা করার অজুহাত খুঁজতে থাকে যাতে তারা নির্দিষ্ট দিনে ও সময়ে পূর্ণ শক্তি নিয়ে আক্রমণ করতে পারে,,,,

তারা এসেছিল তাদের অসহায়ত্ব আর দারিদ্রের কান্না নিয়ে, কিন্তু এখন তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং ভালো মানুষের পা উপড়ে ফেলেছে, আপনার আশেপাশে নজর দিন, আপনার এলাকার আশেপাশেও কি এই রকম ঘটনা ঘটছে, তাহলে এর সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন করুন, ইতিহাস অনুধাবন করার চেষ্টা করুন, বর্তমানের সাথে ইতিহাসের তুলনা করুন, তার পরেও যদি আপনার ভেতরের অসাম্প্রদায়িকতার বা সেকুলারিজমের জ্বর না কমে তাহলে নিজের ঘর থেকে পালাতে প্রস্তুত থাকুন, দূরে কোথাও আগুন লাগলে, আপনার বাড়ি নিরাপদ ভেবে চিন্তা করবেন না যে আগুন আপনার বাড়িতে লাগলে তখন আপনি ভাববেন, সমস্যা তখনই দুর্ভেদ্য হয়ে ওঠে যখন আমরা এর ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করি এবং সঠিক সময়ে তাদের চিকিৎসা না করে এবং আমরা দিনে দিনে সমস্যায় ঘিরে পড়ি এবং ধর্মনিরপেক্ষতা বা সেকুলারিজমের চাদর পরে আমরা মনে করি যে এটি এই সমস্যার অ্যান্টি ডোজ, মহাশয় এই অ্যান্টি ডোজের প্রভাব হল আপনার চুল জালিদার টুপি দিয়ে ঢেকে যাবে আর আপনার লিঙ্গের খতনা হয়ে যাবে,,,,

পাকিস্তান, বাংলাদেশ,,,, স্বাধীনতা থেকে আমরা 100 বছরের মধ্যে সেখান থেকে সমাপ্ত হয়ে যাবো, আপনি কাশ্মীর, বাংলা, কেরালা, বিহার, ঝাড়খন্ড প্রতিটি রাজ্যের অবস্থা দেখতে পারেন, এই সব শুধুমাত্র একটি কাকতালীয় নয়, এটি একটি সম্পূর্ণ পরিকল্পনা, বালিতে মাথা ঢুকিয়ে রেখে মরু ঝড় থেকে বাঁচা যায় না,

অন্ধকারে থাকবেন না,,,,

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted