ইসলামে পর্দা কঠিন আকারে কী করে এলো??

ইসলামে পর্দা কঠিন আকারে কী করে এলো সেই কাহিনীটি আজকে বলি। মুহাম্মদের বাড়িতে কোন বাথরুম ছিলো না। বাড়ির মেয়েরা সারাদিন অপেক্ষা করে থাকতো কখন রাত নামবে আর তারা বাগানে গিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিবে। বাথরুম আরবের কারোর বাড়িতেই ছিলো না। খেজুর গাছের তলাই ছিলো ভরসা। ওমর এ সময় মুহাম্মদকে তার বউদের চাদরে সারাশরীর-চোখ-মুখ ঢেকে রাখতে চাপ দিতে থাকে। সে যুক্তি দেখায়, এতে দাসী ও তার বউদের চিনতে লোকের সুবিধা হবে। নইলে অন্ধকারে দাসী ভেবে তার বউদেরকে যেন গুলিয়ে না ফেলে। মানে হয়েছে কী, সাহাবিরা রাতের আঁধারে দাসীরা ইয়ে করতে গেলে তাদের ধরে আদরটাদর করে দিতো আর কি। এটা হালাল তাই সমস্যা নেই। ওমর তাই তাগাদা দিতে থাকলো, বউদের পর্দা করান নইলে রাতের অন্ধকারে না চিনে তাদেরকে নিয়েই টানাটানি শুরু হয়ে যাবে...।

কিন্তু মুহাম্মদ কথাটায় তেমন মনোযোগ দেননি। ওমর তাই ওঁত পেতে থাকলো মুহাম্মদের স্ত্রীরা কখন দলবেঁধে অন্ধকারে বাগানে যাবে। মুহাম্মদের স্ত্রী সওদা ছিলো উচা লম্বা স্বাস্থ্যবান নারী। তাকে আলাদা করে অন্ধকারেও চেনা যায়। ওমর সুযোগ বুঝে সওদাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে হেঁকে বলল, ওহে আমি কিন্তু আপনাকে চিনতে পেরেছি, আপনি কী করতে বের হয়েছেন তাও জানি...

সওদাসহ টিমের বাকীরা বিব্রত হলো একথা শুনে। মুহাম্মদের কানে গেলো রাতের কাহিনী। তারপরই আয়াত ডাউনলোড হলো, মুসলিম নারীদের (দাসী ব্যতীত) কঠিন পর্দা করতে হবে।

ওমর পর্দার আয়াত নামানোর জন্য এরকমই কৌশল নিয়েছিলেন। মসজিদে নারীদের নামাজ পড়া ঠেকাতেও ওমর রাতের অন্ধকারে ওঁত পেতে ছিলেন তার মামাতো বোনকে হয়রানি করতে। রাতের বেলা মামাতো বোন একা নামাজ পড়তে আসছিলো, ওমর তখন পেছন থেকে তার নিতম্বে হাত দিয়ে চাপ দিলো! মেয়েদের ঘরের বাইরে এসে নামাজ পড়ার বিপদ কতখানি এটি ছড়ানোই ছিলো উদ্দেশ্য। ফলে বন্ধ হয়ে যায় মসজিদে এসে নামাজ পড়া। ইসলামে মদ নিষিদ্ধও হয়েছিলো ওমরের কারণে। তার জেদেই মুহাম্মদ মদ নিষিদ্ধের আয়াত নামান কুরআনে।

[তথ্যসূত্র: সহি মুসলিম-২১৭০ (হাদিসের স্ক্রিনশট দেয়া হলো)/আল বিদায়া ওয়ান নিহানা, ইবনে কাসির।]

©সুষুপ্ত পাঠক

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted