পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন একেশ্বরবাদী 'জোরাস্ট্রিয়ান' ধর্মের গড! নাম আহুর মাজদা!

ইনি হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন একেশ্বরবাদী 'জোরাস্ট্রিয়ান' ধর্মের গড! নাম আহুর মাজদা! দ্বিতীয় ছবিটি হলো, জোরাস্ট্রিয়ান ধর্মের যে 'শয়তান' চরিত্র, সেটি! নাম আংরা মানিউ! এই ধর্মের জনক বা নবীর নাম হলো, জুরুউসথ্রু ! পরবতীতে জোরাস্ট্রিয়ান ধর্মে আরেক নবীর উদ্ভব ঘটে! যার নাম ছিল, আর্দা ভিরাফ নিমেহ! 

যেহেতু আব্রাহামিক ধর্ম জোরাস্ট্রিয়ান ধর্মের  প্রায় দুইতিনশো বছর পরেই তৈরিকৃত হয়েছে! তাই আব্রাহামিক ধর্মগুলোর মধ্যে আমরা জুরাউস্ট্রু ধর্মের প্রধান চরিত্র ও মিথের কাহিনীর অনেকটাই হুবুহু মিল পাই! যেমন, জুরাষ্ট্রিয়ান ধর্মের গড একজন এবং সেই গডের সাথে 'খলচরিত্র' আংরা মানিউ চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলে;  আমি সবসময় তোমার ভক্তদের খারাপ পথে চালাবো! এবং তোমার আদেশ নিষেধের বিরুদ্ধে চালিত করে নরকে পাঠাবো! তখন গড আহুর মাজদা 'শয়তান' আংরা মানিউর চেলেঞ্জ গ্রহণ করেন! ঠিক আল্লাহ যেরকম ইবলিশের 'চ্যালেঞ্জ' গ্রহণ করেছিলেন!       
 

ভয়ংকর মজার ব্যাপার হলো, আব্রাহামিক তিনটি ধর্মেও স্রষ্টা বা গড একজনই! পার্থক্য শুধু তাদের নাম ভিন্ন! যেমন, জিওবা, ইয়াওয়ে, গড, আল্লাহ, ইত্যাদি! এবং শয়তান চরিত্রও সেই একজনই, আংরা মানিউ! কোরানে যার নাম এসেছে, ইবলিশ বা শয়তান হিসাবে!

কিন্তু নবী মুহম্মদের আল্লাহ জুরুউস্ট্র ধর্মের শেষ নবী 'আর্দা ভিরাফ' কে সম্ভবত বেশি 'পছন্দ' করতেন! তাই তিনি নবীকে মিরাজে নিয়ে গিয়েছেন আর্দা ভিরাফের মতোই, একটি উদ্ভট জন্তুর (বোরকা) পিটে চড়িয়ে! উল্লেখ্য, জোরাস্ট্রিয়ান পয়গম্বর আর্দা ভিরাফ একটি ডানাওয়ালা ঘোড়া সদৃশ প্রাণীর পিটে চড়ে, গড আহুর মাজদার সাথে দেখা করতেন! এমনকি তিনি তার মহাকাশ ভ্রমণে স্বর্গ-নরকও দেখে আসতেন মাঝেমধ্যে! আমরা এইসব গাজাকাহিনী 'বুক অব আর্দা ভিরাফ' থেকেই পাই! 

আবার নুবিজি সম্ভবত প্যাগান ও জুইশ ধর্মের রিচুয়ালগুলোকে দারুন 'পসন্দ' করতেন! যদিও তিনি ওসব ধর্মের অনুসারীদের খুবই 'ঘৃণা' করতেন এবং তাদের কচুকাটাও করেছেন! তবুও হজ্বের সময় মাথা ন্যাড়া করা, কাফনের চাদর পরে সাফা মারওয়ায় দৌড়াদোড়ি, কাবাকে সাতবার প্রদক্ষিণ, পশু জবাই, কালো পাথরে চুম্মা, ইত্যাদি প্রায় সকল প্যাগান রিচুয়ালকে নুবিজি হুবুহু মেরে দিয়েছেন, হজ্বের অনুষ্টানে! 

আবার সুন্নতে খৎনা, উপবাস (রোজা), ব্যাভিচারীকে পাথর ছুড়ে হত্যা, এগুলোকে সামান্য 'ঘষামাজা' করে, ইহুদি থেকে 'গোয়া' মেরে দিয়েছেন নুবিপাক! কিন্তু প্রশ্ন হলো, এরপরেও ইহুদিদের প্রতি আল্লা ও নবীর এতো 'ঘৃণা-আক্রোশ' কেন? এরকম সহীহ হাদিসও আছে, কিয়ামতের আগে পাথর ও গাছ সাক্ষী দিবে, 'ওই চিপায় ইহুদি লুকিয়ে আছে!' তখন জঙ্গি মুমিনরা তাদের খুঁজে বের করে হত্যা করবে!

কোরানে সবচেয়ে বেশি 'গীবত' করা হয়েছে, ইহুদি বনি ইজরাইলি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে! এরমূল কারণ, ইহুদিরা মুহম্মদকে নবী হিসাবে আদৌ মানেনি, তাই! মক্কী সূরাগুলোতে আল্লাহ অনেক চেষ্টা করেছেন, ইহুদিদের 'পামপট্টি' দিয়ে হলেও মুহম্মদকে নবী হিসাবে 'বিশ্বাস' করিয়ে নিতে! এমনকি মিরাজের কাহিনীতে মুসা নবীর পরামর্শে আল্লায় ৫০ ওয়াক্ত নামাজকে কমিয়ে ৫ ওয়াক্ত করে দিয়েছেন, এরকমম ফামপট্টির কিচ্ছা বলেও নুবিজি 'বৈজ্যাৎ' ইহুদিদের 'বিশ্বাস' করাতে পারেন নাই যে, তিনি নবী! তাই শেষ পরিণতি হিসাবে ইহুদিদের পুরো গোত্রকেই (বনু কুরেজা) জবাইকৃত হয়ে প্রাণ দিতে হয়েছিল!!..

0/Post a Comment/Comments

যুক্তি সংগত কথা বলুন.................

Stay Conneted