ইসলামে তাকিয়াবাজির উৎকৃষ্ট উদাহরন ।
তাকিয়াবাজি / শটতা হলো তাদের মুল অস্ত্র !
তাকিয়া বা ইস*লামি প্রতা*রনা কাকে বলে?
তাকিয়া এমন একটি বিষয় যার দ্বারা মুস*লমানদেরকে মি*থ্যা বলার অধিকার দেওয়া হইয়াছে । দার*উল ইস*লাম, মানে ইস*লামের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্যে যে কোন রকম মি*থ্যা কথা বলা যা*য়েজ, অন্যায় কাজ করা হা*রাম নয় হা*লাল । কোন কোন পরিস্হিতিতে তা*কিয়া করা যাবে সে সম্পর্কে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হইল -
১ । জান বাঁচানো ফরজ -
ইস*লামের মতে বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করা মানে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাওয়া । কোন ভাবেই এদের বন্ধু ভাবা যাবে না তবে যদি নিজের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় সে ক্ষেত্রে যাবে । কিন্তু তাদেরকে অন্তর থেকে বন্ধু ভাবা যাবে না ,কোর*আন ,৩-২৮ ।
২। শত্রু কে হ@ত্যা করতে হলে প্রয়োজনে তার সাথে বন্ধুত্বের অভিনয় করা যেতে পারে - তৎকালীন সময়ে নবীর অনুমতিক্রমে একজন সাহাবী বন্ধুত্বের অভিনয় করে নবীর সমালোচক এক কবি কে হত্যা করেছিল ।
৩। যদি একজন ব্যক্তির ন্যায় ইসলা*ম ধর্মও বিপদগ্রস্ত হয় বা যুক্তিতে হেরে যায় তবে সেখানে মিথ্যা বলা যাবে । অন্যদিকে ইস*লাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারের স্বার্থে মি*থ্যা বলা যাবে । এই কারণে কিছু সংখ্যক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ ও অনেক আ*লেম ক্ষেত্রবিশেষে মিথ্যা বলে থাকেন ।
৪। কা*ফেররা চক্রান্ত করেছেন আর আ*ল্লাহও চক্রান্ত করেছেন । বস্তুতঃ আল্*লাহ হচ্ছেন সর্বোত্তম কৌশলী, কোরআন (৩-৫৪)।
৫। তাদের সাথে যুদ্ধ করো যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না ।কোর*আন (৭-২৭) । যদি মুস*লমানরা কোন স্থানে সংখ্যালঘু হয় অথবা দুর্বল হয়ে থাকে তবে তারা সে ক্ষেত্রে বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে , চুক্তি করতে , অথবা শপথ করতে পারবে তবে অন্তর থেকে নয় । যতদিন পর্যন্ত পর্যাপ্ত শক্তি সঞ্চয় না হয় ততদিন পর্যন্ত এই অবস্থা বজায় থাকবে । (কো*রআন ২-২২৫)
৬। শপথ ভঙ্গের বিধান নবী বলেন, আল্*লাহর ইচ্ছায় আমি শপথ করি এবং প্রয়োজনে তাহা ভঙ্গ করি অর্থাৎ নবীর কাছে শপথ এর কোন মূল্য নাই (বুখারী ৬৭, হাদিস ৪২৫) নাসিক মাসুক বিধি- একই বিষয়ের উপর ভিন্ন ভিন্ন মত দেওয়া থাকলে তবে সর্বশেষ যে মতটি থাকবে তাকে গ্রহণ করতে হবে । অর্থাৎ পূর্ববর্তী মতামত সমূহ প্রদান করা ছিল নিছক একটি কৌশল মাত্র ।
মূলত মু*সলিম দুনিয়ায় যত মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালু আছে এসব তাকিয়ার নামে অনুমোদিত । ইস*লামের স্বার্থে যে যেভাবে পারছে মিথ্যাচার করছে । যেমন নীল আর্মস্ট্রং , সুনিতা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন । হঠাৎ কিছু গরম খবর প্রকাশ করার মাধ্যমে কিছু ধর্মভীরু ও সরল সহজ লোকদেরকে আকৃষ্ট করা হয় । এইরকম প্রচুর মিথ্যাচার ইস*লামের নামে অহরহ চলছে কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ এর কোনো প্রতিবাদ করেন নাই । তার প্রধান কারণ
তাকিয়ার বিরুদ্ধাচরণ করা মানে ইস*লামের বিরুদ্ধাচরণ করা
ইস*লামি শঠতা বা তা*কিয়া সাত প্রকারের:
১. *তাকিয়া* (শিয়াদের) ও মুদারাৎ (সুন্নিদের) ইস*লাম ধর্ম প্রচারের জন্য যে কোন মি*থ্যা বা প্রতারণা ন্যায্য ও হালাল।
২. *কিত্মা (কিৎমা)* অর্থাৎ সত্যকে বাদ দিয়ে /গোপন করে ( Deceit by omission) কার্য্য/প্রচার সিদ্ধি করা।
৩. *তাওরিয়া* অর্থাৎ Deception by ambiguity ত্যাড়া ব্যাঁকা কথা দিয়ে, লুকোচুরি করে ধর্মের জিহাদ চালানো।
৪. *তাহশির (ত্যাসির)* অর্থাৎ Through facilitation, সহায়তা করে অর্থাৎ শরিয়া উলঙ্গন করে কারো মন জয় করা ( লাভ জিহাদ এ মন্দির এ হিন্দু মতে বিয়ে করাও হালাল)
৫. *দারউরা(দারুরা)* অর্থাৎ প্রয়োজনে কা*ফিরদের জয় করতে হারাম কাজ কর্ম, খাওয়া দাওয়া ও কা*ফিরদের মতো ব্যবহার করা যায়েজ (জিনা, মদ, মেয়েমানুষ...ও *শু*য়োরের মাংস খেয়েও দা*রউল ইস*লাম প্রতিষ্ঠা করা)।
৬. *মুরুনা* অর্থাৎ সাময়িক ভাবে শরিয়া বহির্ভূত ব্যবহার করে (Play victimcard, Become refugee) দার*উল হারবে প্রবেশ ও বিস্তার করা। (যেমন ইউরোপে মুস*লমান রিফি*উজিদের অবৈধ প্রবেশ ও রো*হিঙ্গাদের অবৈধভাবে ভারতে ঢোকানো)।
৭. *Hijra* অর্থাৎ ইস*লামের প্রয়োজনে হি*জরত মানে ন*বী মু*হাম্মদের সাহাবিগণ সহ পৌ*ত্তলিক কোরাই*শদের শহর ম*ক্কা থেকে ইহুদিদের শহর ইয়াতরিবে (পরবর্তীকালে যা মদি*না তুল আল মুনোয়ারা নামে পরিচিত) থাকার জন্য গমণ করা বা Migration করা।
পাদটীকা : ছদ্মবেশী মডারেট মুমিনরা ইদানীং বেশী তাকিয়াবাজি করে !
Post a Comment
যুক্তি সংগত কথা বলুন.................